Ola Scooter: বিকল হচ্ছে ওলা স্কুটার, বললেও সারিয়ে দেয় না, রেগে ফায়ার ক্রেতা, আগুন ধরালেন শোরুমে

সানিয়া জৈন

ওলা ইলেকট্রিকের এক গ্রাহক তাঁর ইলেকট্রিক স্কুটার মেরামতের দেরির জন্য কর্নাটকে সংস্থার একটি শোরুমে আগুন লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ।

মানিকন্ট্রোলের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৬ বছরের মহম্মদ নাদিম গত ২৮ অগস্ট এই ইলেকট্রিক স্কুটারটি কিনেছিলেন এবং দু’চাকার গাড়ি নিয়ে নিয়মিত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। উত্তর কর্ণাটকের কালাবুর্গির বাসিন্দা ওই ব্যক্তি এনিয়ে প্রচন্ড অসন্তুষ্ট ছিলেন কারণ ওলা ইলেকট্রিকের কর্মীরা বারবার অভিযোগ নেওয়া এবং পরিদর্শন করা সত্ত্বেও তার সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।

৮.৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি

নাদিম স্কুটারটি কেনার জন্য ১.৪ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছিলেন। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই স্কুটারটির ব্যাটারি ও সাউন্ড সিস্টেমে কারিগরি সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। বারবার অভিযোগ জানানোর পরেও কিছু হচ্ছিল না। নাদিম নিজেও পেশায় মিস্ত্রি। রেগে গিয়ে তিনি শোরুমেই আগুন ধরিয়ে দেন বলে খবর। 

১০ সেপ্টেম্বর পেট্রোল কিনে কালাবুর্গির ওলা ইলেকট্রিকের শোরুমে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। সৌভাগ্যবশত শোরুমটি বন্ধ থাকায় এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে ছয়টি স্কুটার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে আট লাখ টাকার বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দিন কুড়ি আগে শোরুম থেকে একটি ওলা স্কুটার কিনেছিলেন তিনি। শোরুমের কর্মীরা বারবার পরিদর্শন করা সত্ত্বেও সমস্যার সমাধান করেননি। সমস্যা এবং কর্মীদের গাফিলতিতে হতাশ হয়ে তিনি মঙ্গলবার শোরুমে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।

তবে অগ্নিসংযোগে নাদিমের ভূমিকা প্রকাশ্যে আসার পর ২৬ বছরের ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়। তিনি রেগে গিয়েই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে খবর। পুলিশ গোটা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। আর কেউ এই ঘটনায় জড়িত কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। 

তবে এর আগেও ওলা স্কুটার নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। নীল Ola S1 Pro। সামনের চাকা ভেঙে রাস্তায় মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। মহারাষ্ট্রের সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। এর পরেই ওলার স্কুটার নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। ওলার ইলেকট্রিক স্কুটার আদৌ সুরক্ষিত তো? সংস্থার কাছে এই নিয়েই জানতে চাইল মিন্ট। এক সাম্প্রতিক যাচাইয়ের পর দেখা যাচ্ছে, স্কুটারের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে চিন্তিত অনেকেই।