Biman Bose: ‘জুনিয়র ডাক্তাররা তো চেয়ার চাননি,যা বলেনি তা নিয়ে…’ মমতাকে মনে করালেন বিমান বসু

মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ওরা বিচার চায় না চেয়ার চায়। তবে সত্যিই কি চেয়ার চেয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন সিপিএম নেতা বিমান বসু। 

বিমান বসু বলেন, যারা আন্দোলনরত অবস্থায় রয়েছেন তাঁরা কেউ ওনার পদত্যাগ চাননি। ওনার  পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ চেয়েছেন। যারা এই ঘটনা জড়িত তাদের পদত্যাগ চাওয়া হয়েছে। ওনার পদত্যাগ তো চাওয়া হয়নি। জুনিয়র ডাক্তাররা একবারও চেয়ার চেয়ে কথা বলেননি। ন্য়ায় বিচার চায় না চেয়ার চায় বলছেন…কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা তো একবারও চাননি। ওরা তো বলেনি। যা বলেনি তা নিয়ে অত কথা বলার কী আছে! 

তবে মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু বলেছিলেন ওরা বিচার চায় না চেয়ার চায়। 

কী বলেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী? 

মমতা বলেছিলেন, তিন দিনেও সমাধান করতে পারলাম না। বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। যাঁরা নবান্নের সামনে এসেও বৈঠকে এলেন না তাঁদের আমি ক্ষমা করলাম। আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। আমার সরকারকে অসম্মান করা হয়েছে। অনেক ভুল বোঝাবোঝি কুৎসা হয়েছে। সাধারণ মানুষ রঙ বোঝেনি। আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। কিন্তু এরা বিচার চায় না। চেয়ার চায়। আশা করি মানুষ এটা বুঝবেন।

মমতা বলেছিলেন, অনেকে আলোচনা করতে আগ্রহী ছিলেন। দু তিনটে গ্রুপ, বলব না দুতিনজন। তারা বলছে মিটিংয়ে যাবে না। সমঝোতা করবে না। বাইরে থেকে ওদের কাছে নির্দেশ আসছে। আমি মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। ডাক্তারদের অনুরোধ করছি। কাজে ফিরুন।

‘ নবান্নের গেট থেকেও যাঁরা এলেন না, তাঁদের ক্ষমা করলাম… আমি সাধ্যমত চেষ্টা করলাম। তাঁদের কাছে আমার আবেদন থাকবে কাজে যোগদান করুন। ‘‘ আমরা প্রথম দিন থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি, উই ট্রায়েড আওয়ার বেস্ট।’ হাত জোর করে ক্যামেরার সামনে মমতা বলেন,’ এরপর আশা করি জনগণ আমায় ক্ষমা করবেন।’ আমাদের নামে অনেক.. আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। আমাদের সরকারকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে অনেক ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। অনেক কুৎসা অপপ্রচার হয়েছে। যাঁরা সাধারণ মানুষ জানতেন না যে এরমধ্যে একটা কালার আছে। মানুষ এসেছিলেন বিচার চাইতে তিলোত্তমার..। আমি চাই তিলোত্তমা বিচার পাক, সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পাক। বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। 

আর জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেছিলেন, আমরা চেয়ারের কথা বলছি না। ‘আমরাই খোলা মনে গিয়েছিলাম। সুপ্রিম কোর্টের বিচার হয় লাইভ স্ট্রিমিংয়ে। ২০১৯ সালে মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে লাইভ স্ট্রিমিং হয়েছিল। এবার কেন নয়? ’