Manik Bhattacharya: পার্থ এখনও জেলে, মুক্তি পেলেন মানিক, মুখে চওড়া হাসি, বললেন সত্যমেব জয়তে

অবশেষে জেল মুক্তি মানিক ভট্টাচার্যের। ২৩ মাস পরে জেল থেকে বের হলেন মানিক ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবারই হাইকোর্টে জামিন মিলেছিল। কিন্তু বন্ড নিয়ে কিছুটা জটিলতা ছিল। তবে মানিক ভট্টাচার্য নিজে অবশ্য বেশ তাড়াহুড়োই করছিলেন। অবশেষে শুক্রবার বের হলেন তিনি। 
ঝিরঝিরে বৃষ্টি তার মধ্য়েই বেরিয়ে এলেন মানিক। একটা সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের সভাপতি ছিলেন। এদিন জেল থেকে বেরিয়েই তিনি বলেন সত্যমেব জয়তে। 

এদিকে একাধিক শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁকে মোবাইল নম্বর পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। তিনি কোনও সাক্ষীকে ভয় দেখাতে পারবেন না। হুমকি দিতে পারবেন না। তদন্তকারী অফিসারের অনুমতি ছাড়া বাইরে যেতে পারবেন না। জেল থেকে বেরিয়েই তাঁর মুখে ছিল চওড়া হাসি। সংবাদ মাধ্যমের সামনে কথা বলার সময় বার বারই হেসে ফেলেন তিনি। 

তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন সত্যমেব জয়তে। এমনকী তিনি যে নির্দোষ কার্যত সেকথাও নানাভাবে জানিয়ে দেন। তবে দীর্ঘদিন পরে মুক্ত হয়ে তিনি এদিন ছিলেন একেবারে খোসমেজাতে। পাঞ্জাবি পরে জেল থেকে বের হন তিনি। 

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। প্রায় দু’বছর পর অবশেষে জামিন পেলেন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন।

মানিকের জামিনের আবেদনের মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল গত ২৯ অগস্ট। এরপর মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। জামিনের আবেদন নিয়ে এর আগে মানিক ভট্টাচার্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তবে আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই সময় মামলার আবেদনে ত্রুটি ছিল। তখন সুপ্রিম কোর্ট ত্রুটি সংশোধন করে মানিককে পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে বলেছিল। সেই মতোই হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন মানিক। 

প্রসঙ্গত, এই মামলায় মানিক ছাড়াও তাঁর স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও স্ত্রী শৌভিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে তাদের জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু, জামিন পাননি মানিক ভট্টাচার্য। এবার কলকাতা হাইকোর্ট থেকে তিনিও জামিন পেলেন। যদিও জামিনের বিরোধিতা করে ইডি। তবে শুক্রবার রাতে মুক্তি পেলেন মানিক। 

এদিকে এর আগে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে যখন মামলা চলত তখন তিনি একবার  সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, মানিক ভট্টাচার্যকে দীর্ঘদিন ছেড়ে রেখে দিয়েছিলেন। আমার মনে হয় যোগসাজশ আছে। আমার মনে হয় সিবিআই -মানিক ভট্টাচার্যের মধ্য়ে যোগসাজশ আছে। আমার নির্দেশের পরে কেন জেরা করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। আমার তো মনে হয় সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ আনার বুদ্ধি সিবিআই আধিকারিকরাই দিয়েছিলেন। মনে হয় বুদ্ধি দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরাই। সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ নিয়ে আসুন তাহলে আর জেরা করব না।