আগে কুণালকে গ্রেফতার করা উচিত ছিল, একযোগে সরব বাম – বিজেপি – Kunal should have been arrested earlier, simultaneously Sarab Bam

ভাইরাল অডিয়ো কাণ্ডে বাম নেতা কলতান দাশগুপ্তের গ্রেফতারির নিন্দায় একযোগে সরব হল বাম ও বিজেপি। সঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, এভাবে কি সবার ওপর নজরদারি চালাচ্ছে তৃণমূল?

আরও পড়ুন – মানুষের হাসপাতালে তৃণমূল নেতার কুকুরের চিকিৎসা! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

পড়তে থাকুন – ‘এখনই প্রতিরোধ না হলে আরও অনেক তিলোত্তমাকে এভাবে চলে যেতে হতে পারে’

 

বাম নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘পুলিশ যদি সঠিকভাবে তদন্ত করতে চাইত তাহলে তাদের প্রাথমিক কাজ ছিল কুণাল ঘোষকে হেফাজতে নেওয়া। কুণাল ঘোষ ওই অডিয়ো ক্লিপিংটা কোথা থেকে পেলেন? কারা ওই অডিয়ো ক্লিপ তৈরি করেছেন সবটাই কুণাল ঘোষ জানেন। কুণাল ঘোষ জানেন তদন্ত হলে তিনি গ্রেফতার হবেন তাই কলতানের মতো ছেলেকে গ্রেফতার করিয়ে ব্যাপারটা গুলিয়ে দিতে চাইছেন। কলকাতা পুলিশ স্বাধীনভাবে এর তদন্ত করতে পারবে কি না আমার মনে শংকা আছে।’

বিজেপি মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘কলতান দাশগুপ্তের অডিয়ো ক্লিপ কুণাল ঘোষ পেলেন কী করে? তাহলে কি প্রত্যেকের ওপর এরকম নজরদারি চলছে? যে ভাবে কলতানকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা স্বৈরতান্ত্রিক পদক্ষেপ। আমি যতটুকু ওকে চিনি, নাশকতামূলক কোনও কাজ করার ছেলে সে নয়। হুমায়ুঁ কবির যখন হিন্দুদের কেটে জলে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তখন পুলিশের এই তৎপরতা কোথায় থাকে?’

আরও পড়ুন – খুনি ডাক্তারের শাস্তি চাই, সন্ধের পর পথে নেমে স্লোগান তুললেন কল্যাণ

শুক্রবার একটি অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেন, বিধাননগরে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান বিক্ষোভে হামলা চালানোর চক্রান্ত হচ্ছে। এর পর রাতে যাদবপুর থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সকালে লালবাজারের ধরনা থেকে ফেরার পথে DYFI নেতা কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।