রাত দখলের ডাকে সাড়া দেন চিকিৎসক, বাড়িতে পৌঁছে গেল বেহালা থানার সমন

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার জেরে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমেছেন। বিচারের দাবি তুলেছেন। স্লোগান উঠেছে ‘‌উই ওয়ান্ট জাস্টিস’‌। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে সেই বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে। তার মধ্যেই হরিদেবপুরের চিকিৎসককে বেহালা থানা থেকে সমন পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই চিকিৎসকের অপরাধ বলতে গত ৮ সেপ্টেম্বর আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদে রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়। আর সেই রাত দখল করতে পথে নেমেছিলেন হরিদেবপুরের চিকিৎসক দেবাশিস চক্রবর্তী। তার জেরেই তাঁকে থানা থেকে সমন পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ।

আজ, শনিবার জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত হওয়ায় স্বাগত জানান তাঁরা। আর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নয়, দিদি হিসাবে এসেছেন বলার পর বরফ অনেকখানি গলেছে। তাই আজ সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে বৈঠকে বসছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই আবহে চিকিৎসক দেবাশিস চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‌মদনমোহন তলায় রাস্তার উপর ছবি আঁকছিলাম। তখন পুলিশের একটি গাড়ি এসেছিল। গাড়িটিকে অন্যদিক দিয়ে ঘুরে যেতে বলেছিলাম। পুলিশ অন্য রাস্তা দিয়ে চলেও যায়। কিন্তু এখন এই সমন পাঠিয়েছে। যা নিয়ে ভয় পাচ্ছি।’‌

আরও পড়ুন:‌ কলতান–সঞ্জীবের একসপ্তাহের পুলিশ হেফাজত, ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় নিশিযাপন

আজ, শনিবার স্বাস্থ্য ভবনে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে অচলাবস্থা কাটানোই লক্ষ্য। কিন্তু ততক্ষণে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ চিকিৎসক দেবাশিস চক্রবর্তীর কাছে বেহালা থানা থেকে একটি সমন পাঠানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, আজ শনিবার ৩টে নাগাদ দেখা করতে হবে বেহালা থানায় এসে। আর দেখা না করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতেই বেজায় চাপে পড়ে গিয়েছেন চিকিৎসক। এই আন্দোলন তো স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সমর্থন করেছেন। তাহলে চিকিৎসককে সমন কেন?‌ উঠছে প্রশ্ন। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি বেহালা থানা।

পাঁচ দফা দাবিতে স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলন করে চলেছে জুনিয়র ডাক্তাররা। ওই দাবিগুলি নিয়ে আজ শনিবার রাতে সকলকে পথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। তবে তার আগেই সেখানে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই খবর আসে চিকিৎসক দেবাশিস চক্রবর্তীকে সমন পাঠিয়েছে বেহালা থানা। এই বিষয়ে দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‌নাগরিক সমাজের ডাকা আন্দোলনে ছিলাম। এরপরই ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যাক্টে আমাকে সমন পাঠানো হল। আমি ন্যাশনাল হাইওয়েতে ছিলামই না। এই প্রতিবাদ সর্বত্র হচ্ছে। আমাকে একা এই সমন পাঠানো হল কেন?‌ বুঝতে পারছি না। বেহালা থানা আমাকে ডেকে পাঠাল।’‌