Himachal Pradesh disaster: বিপর্যয়ের ৪২ দিন পর বিদ্যুৎ ফিরল হিমাচলের গ্রামে, এখনও বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ

গত মাসে প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে এসেছিল হিমাচল প্রদেশে। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে নিহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। তাছাড়া, নিখোঁজ হয়েছিলেন বহু মানুষ। সেই সঙ্গে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল একাধিক এলাকায়। সেরকমই একটি এলাকা হল হিমাচলের কুল্লু জেলার মালানা গ্রাম। বিপর্যয়ের প্রায় ৪২ দিন পর গ্রামটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের একমাস পরেও এখনও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি হিমাচল।

আরও পড়ুন: হড়পা বানে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক রাস্তা, মানালিতে আটকে অভিনেতা রুসলান

বন্যায় বিপর্যস্ত হওয়ার পরেই গত মাসে ওই এলাকায় প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহের জন্য পদক্ষেপ করেছিল সরকার। মালানা পঞ্চায়েতের উপ প্রধান রামজি ঠাকুর বলেছেন, গ্রামে বিদ্যুৎ ফিরে আসার পরে মানুষজন স্বস্তি পেয়েছেন ঠিকই তবে, সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তারফলে সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা। প্রশাসনের তরফে এরজন্য তৎপরতার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। এদিকে, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকার ফলে বেশি দামে নিত্য জিনিসপত্র কিনতে বাসিন্দাদের। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, সামগ্রী আনতে গিয়ে তাদের অনেক বেশি খরচ পড়ে যাচ্ছে। সেই কারণে বাধ্য হয়েই বেশি দামে সবকিছু বিক্রি করতে হচ্ছে।  

এদিকে, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় রোগীদের ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। গুরুতর রোগীদের পায়ে করে হেঁটেই নিকটবর্তী এলাকায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে হচ্ছে।যদিও সরকারের তরফে এলাকায় ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, যোগাযোগের মূল রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় স্থানীয়রা একটি অস্থায়ী কাঠের সেতু তৈরি করেছেন। তাতেই কোনওভাবে চলছে যোগাযোগ।

কুল্লুর মহকুমা শাসক বিকাশ শুক্লা জানান, ‘মালানা পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিচালনাকারী সংস্থার সহায়তায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আমরা একটি কেবলওয়ে স্প্যান নির্মাণ করছি, এটি গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করবে। আমরা ইতিমধ্যে কেবলওয়ের প্রায় ১,১০০ মিটার কাজ সম্পন্ন করেছি এবং আরও প্রায় ১,৮০০ মিটার বাকি রয়েছে। কাজ চলছে।’যদিও কেবলওয়ে স্প্যানটি সম্পূর্ণ হতে আরও এক মাস সময় লাগতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন।