Letter on Kolkata Blast: ‘কলকাতা পুলিশের ক্ষমতা সীমিত’, বিস্ফোরণে এনআইএ তদন্ত চেয়ে শাহকে চিঠি সুকান্তর

‘কলকাতা পুলিশের ক্ষমতা সীমিত’। তাই তাদের উপর ভরসা না করে শনিবারের বিস্ফোরণে এনআইএ তদন্তের দাবি তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তড়িঘড়ি লিখিত আবেদন জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

উল্লেখ্য, এদিন দুপুর পৌনে দু’টো নাগাদ মধ্য কলকাতার এসএন ব্যানার্জি রোড লাগোয়া এলাকায় একটি বিস্ফোরণের ঘটনার ঘটে। সুকান্ত তাঁর লেখা আবেদনপত্রে জানিয়েছেন, সেই ঘটনায় ৫৮ বছরের এক ব্যক্তির প্রাণ যায়। নিহত ব্যক্তি আবর্জনা সংগ্রহ ও বিক্রির কাজ করতেন।

এই ঘটনার পরই কলকাতা পুলিশের তরফে পদক্ষেপ করা হয়। বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলে খবর পাঠানো হয় বম্ব স্কোয়াডে। সুকান্তর বক্তব্য, পুলিশ ও বম্ব স্কোয়াড তাদের কাজ শুরু করলেও কী কারণে দিনে-দুপুরে, শহরের বুকে এমন ঘটনা ঘটল, তা এখনও জানা যায়নি।

এর জন্য যে তদন্তের প্রয়োজন, সেকথাও বলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। কিন্তু, একইসঙ্গে তাঁর দাবি, কলকাতা পুলিশের ক্ষমতা সীমিত। তাই তাদের পক্ষে এমন একটি বিস্ফোরণের তদন্ত করা সম্ভব নয়।

এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুকান্ত মজুমদারের দাবি, এনআইএ বা অন্য কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, যাদের এই ধরনের ঘটনার তদন্ত করার অভিজ্ঞতা ও পারদর্শিতা রয়েছে, এবং যাদের কাছে এর জন্য প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত পরিকাঠামো মজুত রয়েছে, তেমনই কারও উপর এই ঘটনার তদন্তভার ন্যস্ত করা হোক।

সুকান্ত মজুমদারের আরও বক্তব্য, শহরের প্রাণকেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মনে আতঙ্ক ও আশঙ্কা তৈরি হবে। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার যদি উদ্যোগী হয়ে তদন্ত করায়, তাহলে মানুষও আশ্বস্ত হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। নিহত ব্যক্তি ব্যাগটি তুলতে গিয়েছিলেন। তাতেই ঘটে যায় বিপত্তি। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, বিস্ফোরণে তাঁর হাত উড়ে গিয়েছে। যার জন্য দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ইদানীংকালে রাজ্যের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি যে কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটলেই কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া দাবি জানায়।

বাম জমানায় যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্থাৎ রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী নেত্রী ছিলেন, তখন তাঁকেও যে কোনও ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাইতে দেখা যেত। বর্তমানে ঠিক সেই ভূমিকাতেই অবতীর্ণ হয়েছেন রাজ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীরা।

এখন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপি নেতার আবেদনে সাড়া দেন কি না, সেটাই দেখার।