The Great Banyan Tree: বোটানিক্যাল গার্ডেনের বটগাছ হারালো ‘সম্মান’? সেরার তকমা আর নেই, মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ

কলকাতার আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু উদ্ভিদ উদ্যান, যাকে শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনও বলা হয়। বোটানিক্যাল গার্ডেনের অন্যতম সেরা আকর্ষণ ‘দ্য গ্রেট ব্যানিয়ান ট্রি’, যেটি এতদিন অব্দি ছিল বিশ্বের সবথেকে বড় বটগাছ। এবার সেই স্থান ছিনিয়ে নিল অন্ধ্রপ্রদেশ।

সম্প্রতি বিশ্বের বিশালতম বটগাছের তকমা পেয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ জায়গা করে নিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুরের একটি বটগাছ। এবার থেকে তাই শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের বটগাছটি হারালো বিশ্বের বৃহত্তম বটগাছের তকমা।

১৯৪৮ সালে শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের বিখ্যাত বটগাছটি জায়গা করে নিয়েছিল গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ। সেই থেকে ২৫০ বছরের পুরনো এই গাছটি বিশ্বের বিশালতম বটগাছ হিসেবে পরিচিত ছিল সারা বিশ্বের মানুষের কাছে। বলা ভালো, এই গাছটি দেখতেই উদ্যানে ভিড় করতেন সাধারণ মানুষ।

(আরও পড়ুন: লম্বা মানুষের শরীরে ক্যানসার বাসা বাঁধে সহজে, গবেষণায় উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য)

শিবপুরের বটগাছের তকমা হারানোর বিষয়টি কিন্তু মেনে নিতে নারাজ উদ্যান কর্তৃপক্ষ।কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী, শিবপুরের বটগাছের শাখার সংখ্যা অনন্তপুরের বটগাছের শাখার সংখ্যার থেকে অনেক বেশি। বিষয়টি মেনে নেওয়ার আগে কর্তৃপক্ষের একটি বিশেষজ্ঞ দল অনন্তপুরে যাবেন ওই বটগাছের আকার এবং আয়তন খতিয়ে দেখার জন্য।

এই প্রসঙ্গে উদ্যানের অধিকর্তা দেবেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘২৫০ বছরের পুরনো ‘দ্য গ্রেট ব্যানিয়ান ট্রি’ আয়তনের দিক থেকে যে স্থান অর্জন করেছিল, দুর্ভাগ্যবশত সেটি এখন আর নেই। শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের বট বৃক্ষের পরিধি ১৯,৬৬৭ বর্গমিটার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বট বৃক্ষের পরিধি ২১,০০০ বর্গমিটার।’

দেবেন্দ্র বাবু আরও জানিয়েছেন, শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের বট গাছের শাখা প্রায় ৫০০০-এর বেশি। অন্ধ্রপ্রদেশের গাছের শাখা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। এলোমেলো ভাবে অনেক শাখা বেড়ে উঠেছে ওই গাছটির, অন্যদিকে শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের গাছটি পরিচর্যায় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ক্যানোপি তৈরি হয়েছে।

(আরও পড়ুন: ইন্টারনেটে ভাইরাল ঘি চা, কেন খাবেন এই চা? কী উপকার পাবেন আপনি)

প্রসঙ্গত, পুরো ব্যাপারটি দেখার জন্য উদ্যানের বিজ্ঞানীদের প্রতিনিধি দল অনন্তপুরে যাবেন। সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার করে সেরার তকমা ফিরে পাওয়ার জন্য ফের গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে।