Constipation causes cancer: মলত্যাগের সমস্যা ডেকে আনতে পারে ক্যানসার, বাঁচার উপায় বাতলে দিলেন চিকিৎসক

পেটের সমস্যা অথবা শারীরিক কোনও সমস্যা হলে রক্ত পরীক্ষার পাশাপাশি চিকিৎসকরা মল পরীক্ষা করতেও দেন। মলমূত্র পরীক্ষা করার অন্যতম কারণ হলো, আপনি আদৌ স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলেন কিনা তা বোঝা যায় এই পরীক্ষা থেকে। পেটের সমস্যার পাশাপাশি সঠিকভাবে মলত্যাগ না হওয়া আপনার শরীরে কত বড় সমস্যার কারন হতে পারে, সেটাই জানুন এই প্রতিবেদনে।

এইচটি লাইফ স্টাইলের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে ফর্টিস হিরানন্দানি কনসালটেন্ট গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ডক্টর রনক টেট বলেন, ‘একটানা বদ হজমের সমস্যার ফলে দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য। দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য তৈরি হয় অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার ফলে। আমাদের বুঝতে হবে, কিছু কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা সাধারণ হলেও প্রথম থেকে যদি সেটির উপর নজর না দেওয়া হয়, তাহলে বড়সড়ো সমস্যা তৈরি হতে পারে।’

(আরও পড়ুন: আপনার দিনটি স্বাস্থ্যকরভাবে শুরু করতে চান? এই স্মুদি রেসিপিগুলি বানিয়ে দেখুন)

ডক্টর রনক জোর দিয়ে বলেন, ‘কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ছোট থেকে বড় সবাইকেই সমানভাবে কষ্ট দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন এমন ৩০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কদের এই সমস্যা কিন্তু ছোটবেলা থেকেই শুরু হয়ে যায়। সচেতনতা এবং চিকিৎসার অভাবে পরবর্তী সময়ে সেটি বড় আকার ধারণ করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোষ্ঠকাঠিন্য মানেই হল মলত্যাগের ফ্রিকোয়েন্সি কমে যাওয়া এবং মলত্যাগ করতে অসুবিধা হওয়া। কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে বেশিক্ষণ বাথরুমে সময় কাটান রোগী। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পেটে গ্যাস জমে থাকে এবং সেই গ্যাস সকলের সামনে বেরিয়ে গেলে নিঃসন্দেহে সেটি লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।’

(আরও পড়ুন: বেড়াতে যাওয়ার তাড়াহুড়োয় শ্যাম্পু করা হয়নি? চিটচিটে চুলেও হবে এই ৩ স্টাইল)

ডক্টর টেট বলেন, ‘কোষ্ঠকাঠিন্য ডেকে আনতে পারে পাইলস, ফিসার, ফিস্টুলা, হার্নিয়া। অবস্থা গুরুতর হলে অস্ত্রপচারেরও প্রয়োজন হয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় এবং ঋতুস্রাবের সমস্যা তৈরি হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে। বিশেষ কোনও কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে সেটি আলাদা কথা, কিন্তু এই সমস্যা যদি একটানা থেকে যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।’

সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে বিষন্নতা, ডিমেনশিয়া এমনকি কোলন ক্যানসারের মতো সমস্যাও তৈরি হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যকে একটি সাধারন অসুখ ভাবা একেবারেই উচিত নয় বরং প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত ব্যায়াম এবং অবসাদ মুক্ত হওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্যকে বিদায় জানাতে হবে।