Engine in Field: রেল লাইন ছেড়ে চাষের জমিতে নামল ইঞ্জিন! ‘রিল মন্ত্রী’ বলে টিপ্পনী কংগ্রেসের

ট্রেনের ইঞ্জিন তো নয়, যেন পথভোলা ভবঘুরে! তাই বুঝি রেল লাইন ধরে চলতে চলতে, কু-ঝিক-ঝিক করতে করতেই সটান হাজির হয়েছে চাষের জমিতে! শুক্রবার সন্ধ্যায় বিহারে ঘটেছে এমনই এক আজব ঘটনা। রেল লাইন লাগোয়া সবুজ ক্ষেতের মাঝখানে সেই একাকী ইঞ্জিনের ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে টিকা-টিপ্পনী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়াজিরগঞ্জ এবং কোলহ‌্না স্টেশনের মাঝে রঘুনাথপুর গ্রামের একটি কৃষি জমিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ইঞ্জিনটি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন বাসিন্দারা। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়েই যখন জোর জল্পনা চলছে, তখনই জানা যায়, নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই নাকি রেল লাইন ছেড়ে চাষের জমিতে নেমে গিয়েছে ওই ইঞ্জিন!

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ইঞ্জিনটির সঙ্গে কোনও কামরা যুক্ত ছিল না। শুধুমাত্র ইঞ্জিনটিকেই গয়ার দিকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময়েই ঘটে যায় বিপত্তি। কোনও কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লাইনচ্যুত হয়ে যায় ইঞ্জিনটি। পাশেই ঢালু কৃষি জমি থাকায় গড়িয়ে ঢুকে যায় সেদিকেই। তবে, এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

এদিকে, এই ঘটনা চাউর হতেই ক্ষেতের মাঝে ইঞ্জিন দেখতে ভিড় জমাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা অনেকেই মোবাইলে সেই ছবি তোলেন। যা পরে সোশাল মিডিয়ার সৌজন্যে ভাইরাল হয়ে যায়। নেট নাগরিকদের চোখে বিষয়টি পড়তেই শুরু হয় ঠাট্টা, তামাশা।

সমালোচনার এমন একটা সুযোগ হাতছাড়া করেনি কংগ্রেসও। তারাও সোশাল মিডিয়ায় এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে। সঙ্গে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে কটাক্ষ করে লেখে, ‘মাননীয় রিলমন্ত্রী, বিহারে একটি ‘ছোট ঘটনা’ ঘটেছে। চলতে চলতে একটি রেল ইঞ্জিন ক্ষেতে নেমে পড়েছে। আপনি এই ভিডিয়োটি ব্যবহার করে রিল তৈরি করতে পারেন।’

প্রসঙ্গত, রেল মন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সময়টা বিশেষ ভালো যাচ্ছে না অশ্বিনী বৈষ্ণবের। একের পর এক রেল দুর্ঘটনায় শত শত মানুষের প্রাণ গিয়েছে। রেল মন্ত্রক তথা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সরকার পক্ষ যতটা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে একের পর এক বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনে আগ্রহী, রেলের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে ততটা নয়।

মোদী সরকার এই অভিযোগ কোনও দিনই অবশ্য মানতে চায়নি। অন্যদিকে, সোশাল মিডিয়ায় রিল করা নিয়ে রেলমন্ত্রীকে বিরোধীদের, এমনকী সাধারণ মানুষেরও কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে। বিহারের ঘটনার জেরে আরও একবার তাঁকে ‘রিলমন্ত্রী’ বলে আক্রমণ করল কংগ্রেস।