India Bangladesh Business: বাংলাদেশে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতেও পাইপলাইন-পথে মে নির্বিঘ্নে তেল রপ্তানি করেছে ভারত

কিছুদিন আগেই বাংলাদেশে এক উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। সেদেশে ছাত্র-গণ আন্দোলনের মাঝে বহু রক্তক্ষয়ের ছবি দেখা গিয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষমতা পরিবর্তন হয়েছে। তারপরও ভারত থেকে বাংলাদেশে তেল রপ্তানিতে তার আঁচ পড়েনি। অসমের নুমালিগড় তৈল শোধনাগার থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে নির্বিঘ্নে তেল রপ্তানি হয়েছে বলে অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান রঞ্জিত নাথ জানিয়েছেন।

শনিবার, অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর রঞ্জিত নাথ জানান, তাঁদের সংস্থা থেকে বাংলাদেশে ডিজেল রপ্তানির ক্ষেত্রে ‘কোনও বিঘ্ন ঘটেনি।’ অয়েল ইন্ডিয়ার আওতায় অন্যতম তৈল শোধনাগার রয়েছে নুমালিগড়ে। এই তৈল শোধনাগার থেকে শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুরে যে পাইপলাইন রয়েছে, তার মাধ্যমে জ্বালানি তেল রপ্তানি করা হয়। ভারতের সীমারেখার মধ্যে এই পাইপলাইন ৫.১৫৬ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে। আর বাংলাদেশের সীমা রেখার মধ্যে ১২৪.৩৪৬ কিলোমিটার অংশ জুড়ে রয়েছে এই পাইপলাইন। প্রতি বছর এই পাইপলাইনের ১ মিলিয়ন টন ডিজেল রপ্তানির ক্ষমতা রয়েছে। বর্তমানে এই পাইপলাইন পথে ৪০০,০০০ টন রপ্তানি করা হয়।

( Hathras Victim Family Latest: ‘জাস্টিস’র অপেক্ষায় ৪ বছর..চিতাভস্ম আঁকড়ে হাথরাসের নির্যাতিতার পরিবার বহু অভিযোগে সরব)

( New Vande Bharat Trains for West Bengal: রবিবার থেকে নয়া ৩ রুটে বন্দে ভারত পাচ্ছে বাংলা! রইল সময়সূচি, স্টেশন)

উল্লেখ্য, গত অগস্ট মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশে অশান্ত সময়ে আসে রাজনৈতিক অস্থিরতা। অগস্টের ৫ তারিখ শেখ হাসিনা সেদেশ থেকে ভারতে চলে আসেন। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে তিনি ইস্তফাও দিয়েছেন। এদিকে, এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে বহু ভারতীয় সংস্থার উপর প্রভাব পড়ে। জানা যায়, আদানির মতো সংস্থা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করলেও, তার পরিষেবার বকেয়া টাকার অঙ্ক প্রচুর। 

এদিকে, এরই মধ্যে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশকে ২০ কোটি ডলারের সহায়তা দিচ্ছে আমেরিকা। ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি উর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট-র সঙ্গে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার হল বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে সহযোগিতা করা। বাংলাদেশের তরফে ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সেদেশের আর্থিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, একেএম সাহাবুদ্দিন। রিড জে অ্যাসচলিম্যান, ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি উর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট-র পক্ষ থেকে সাক্ষর করেন।