Prashant Kishor on Liquor Ban: ‘সরকার গড়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই মদে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেব!’

বিহারের শাসন ক্ষমতায় এলে ‘একঘণ্টার মধ্যেই মদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার’ করে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন জন সুরজ দলের প্রধান নেতা প্রশান্ত কিশোর।

আগামী ২ অক্টোবর, দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের আগে ফের একবার নিজের দুই বর্তমান রাজৈনতিক প্রতিপক্ষ রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) এবং জনতা দল (সংযুক্ত)-এর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন প্রশান্ত। বলেন, বিহারের মানুষ এই দুই দলকে এত দিন ধরে সহ্য করেছে। আর নয়।

সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে প্রশান্ত আরও বলেন, ‘আমরা গত দু’বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। জন সুরজ যদি রাজ্যে সরকার গঠন করতে পারে, তাহলে ক্ষমতায় আসার এক ঘণ্টার মধ্যেই আমরা মদের উপর জারি থাকা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেব।’

বিহারের রাজনীতিতে গত কয়েক দিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছে। তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় প্রশান্ত কিশোরকে। জানতে চাওয়া হয়, তেজস্বী যাদব সম্প্রতি যেভাবে মাঠে নেমে রাজনীতি করছেন এবং একেবারে মানুষের দরজায় পৌঁছে যাচ্ছেন, তা নিয়ে তাঁর কী বক্তব্য?

জবাবে প্রাক্তন ভোটকূশলী প্রশান্ত বলেন, ‘আমি ওঁকে (তেজস্বী যাদবকে) শুভকামনা জানাচ্ছি। তিনি অন্তত বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন এবং মানুষের মাঝে পৌঁছে যাচ্ছেন।’

প্রসঙ্গত, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বারবার দলবদল এবং সেসবের মধ্যেই পূর্বসূরি রাবড়ি দেবীর সামনে হাতজোড় করে ক্ষমা চাওয়ার একটি পুরনো ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। বাগযুদ্ধে জড়িয়েছেন তেজস্বী যাদব ও নীতীশ কুমারও।

এই ইস্যুতে প্রশান্ত কিশোরকে প্রশ্ন করা হলে তিনি রীতিমতো বিরক্ত হন। তাঁর বক্তব্য, এটা নীতীশ ও তেজস্বীর মধ্যেকার ব্যাপার। এ নিয়ে তাঁর কী বলার থাকতে পার! বরং, প্রশান্ত মনে করেন, ‘ওরাঁ কে, কার কাছে ক্ষমা চাইলেন, তাতে কিছু যায় আসে না। কারণ, ওঁরা দু’জনই বিহারের ক্ষতি করেছেন।’ এই প্রেক্ষিতে তাই দু’জনকেই রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার পরামর্শ দেন প্রশান্ত কিশোর।

জন সুরজ প্রধানের বক্তব্য, নীতীশ এবং তেজস্বীর দলের জন্যই গত প্রায় তিন দশক ধরে বিহারের মানুষ সুপ্রশাসন থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। তাঁরা এই তিন দশকে যথেষ্ট সহ্য করেছেন বলে তোপ দাগেন প্রশান্ত।

এখানেই থামেননি প্রশান্ত কিশোর। ভোজপুরে আয়োজিত একটি সমাবেশে তেজস্বী যাদবের রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর খোঁচা, ‘কারও কাছে যদি শিক্ষালাভের উপায় না থাকে, তাহলে তার অশিক্ষিত থাকার কারণ বোঝা যায়। কিন্তু, কারও মা-বাবা যদি মুখ্যমন্ত্রী হন, তারপরও যদি সেই ব্যক্তি দশম শ্রেণি পাস না করতে পারেন, তাহলে বুঝে নিতে হবে, শিক্ষার প্রতি তাঁদের ভাবনা-চিন্তা আদতে ঠিক কীরকম!’

প্রশান্তের বক্তব্য হল, ‘নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর স্কুলছুট’ এক ব্যক্তি দাবি করছেন, তিনি বিহারের উন্ন়য়নে নেতৃত্ব দেবেন। এর থেকে দুর্ভাগ্যের আর কী হতে পারে! প্রশান্ত কিশোরের অভিযোগ, তেজস্বী যাদব অর্থনীতির প্রাথমিক নিয়মটুকুই জানেন না।

প্রশান্ত মনে করেন, তেজস্বী যাদব যদি সত্যিই রাজনৈতিক নেতা হতে চান, তাহলে তাঁকে পরিশ্রম করে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। শুধুমাত্র নিজের পরিবারের উপর নির্ভর করে বসে থাকলে চলবে না।