‘পদ্মা সেতুতে নিয়ে টুস করে ফেলে দেওয়ার’ বক্তব্যে শেখ হাসিনার নামে মামলা

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হত্যার হুমকির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি সৌরভ প্রিয় পাল। বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একমাত্র আসামি করে বাদী মামলাটি দায়ের করেন।’  

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বা সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের ১৮ মে এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসনের সমালোচনা করে বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিল জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে। ওখানে চড়া যাবে না, ভেঙে পড়বে। এর সঙ্গে যুক্ত ছিল তার (খালেদা জিয়া) দোসররাও। তাদের কী করা উচিত? পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে পদ্মা নদীতে টুস করে ফেলে দেয়া উচিত।

ড. ইউনূসকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, যিনি (ইউনূস) একটি এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্পের টাকা বন্ধ করেছে, তাকেও পদ্মা নদীতে নিয়ে দুটি চুবানি দিয়ে উঠিয়ে নেওয়া উচিত। মরে যাতে না যায়। পদ্মা নদীতে চুবানি দিয়ে সেতুতে তুলে দেওয়া উচিত। তাহলে যদি এদের শিক্ষা হয়।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, বেগম খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন তথা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগের সন্ত্রাসীদের প্ররোচিত করেছিলেন শেখ হাসিনা।