সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্তকে রাতে ডিবিতে হস্তান্তর

দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত ও একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবুকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে তাদের মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। 
এর আগে, সোমবার ভোরে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া দিয়ে ভারত সীমান্তের দিকে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাদের আটক করেছিল বলে জানিয়েছিল পুলিশ।

পুলিশের দাবি, ধোবাউরার স্থানীয় লোকজন তাদের আটকের পর পুলিশের কাছে খবর দেয়। পরে পুলিশ তাদের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুবুর রহমান ও প্রাইভেটকারের চালক সেলিমকেও আটক করা হয়। 

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। 

ডিবির কর্মকর্তারা জানান,  রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক হত্যা মামলার এজাহারে সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্তের নাম রয়েছে। তাদের কোন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

সোমবার ধোবাউড়া থানার ওসি মো. চাঁন মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে দক্ষিণ মাইজপাড়া ও পোড়াকান্দুলিয়া সীমান্তের মাঝামাঝি এলাকায় একটি প্রাইভেটকারসহ চার জনকে আটক করে এলাকাবাসী। তারা সীমান্ত হয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন বলে জানায় তারা। পরে পুলিশ পরদিন সোমবার ভোরে চার জনকে হেফাজতে নেয়। 

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া হয়ে শ্যামল দত্ত সপরিবারে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। তাকে ওই দিন আটকে দিয়েছিল ইমিগ্রেশন পুলিশ। এর পর থেকে তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। 

এছাড়া শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন মোজাম্মেল বাবু। সম্প্রতি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় করা একটি হত্যা মামলার এজাহারে শেখ হাসিনার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংবাদিকদের নাম উল্লেখ করা হয়। এতে মোজাম্মেল বাবুকেও আসামি করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: https://www.banglatribune.com/others/863324