Centre on Census: শীঘ্রই শুরু হবে সেনসাস, বিরোধীদের দাবি মেনে জাতিগণনা নিয়ে এখনও চিন্তাভাবনা চালাচ্ছে সরকার

শীঘ্রই ভারতে ফের জনগণনার কাজ শুরু করা হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ইতিমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে। রবিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একথা জানানো হয়।

একইসঙ্গে, আরও একটি বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে নয়া দিল্লি। দশক ভিত্তিক এই গণনায় জাতিগত পরিচয় সংক্রান্ত একটি বিভাগ রাখার ব্যাপারেও সরকার ‘খোলা মনে’ ভাবনা-চিন্তা করছে। শীঘ্রই এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে।

উল্লেখ্য, করোনা অতিমারির সময় থেকেই ভারতে জনগণনা বা আদমশুমারি করার বিষয়টি বারবার পিছিয়ে গিয়েছে।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে জানান, জনগণনা সংক্রান্ত যেসব কাজকর্ম এত দিন স্তব্ধ হয়ে ছিল, ইতিমধ্যেই তা ফের শুরু করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সরকার এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবে।

প্রসঙ্গত, জনগণনা, বিশেষ করে জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই মোদী সরকারের সমালোচনা করে চলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এমনকী, এনডিএ শরিকরাও চাইছে জাতিগত জনগণনা করা হোক।

পাশাপাশি, আরএসএসের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, জাতিগত জনগণনা করা হলে তাদের কোনও আপত্তি নেই। যদি না সেই তথ্য নিয়ে রাজনীতি করা হয়। মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে যদি এই গণনা করা হয়, তাতে তাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলেও জানিয়ে দিয়েছে আরএসএস শীর্ষ নেতৃত্ব।

কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট আধিকারিক এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, জনগণনা করার জন্য মাঠে নেমে যে প্রস্তুতি করা দরকার, ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

বস্তুত, এর আগে একাধিকবার এই প্রসঙ্গে কথা হলেও সরকারের তরফে কোনও সদর্থক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু, এবারই প্রথম কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, শীঘ্রই দেশে জনগণনার কাজ শুরু করা হরবে। এমনকী, দীর্ঘদিনের দাবি মেনে এবার জনগণনার প্রক্রিয়াতেই জাতিগত পরিচয় বিভাগটিও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। তবে, এই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেও জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।

প্রসঙ্গত, ভারতে শেষবার ১৯৩১ সালের জনগণনায় জাতিগত পরিচয় সংক্রান্ত বিভাগটি সংযুক্ত করা হয়েছিল। এই দশকের প্রথম জনগণনা শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ১ এপ্রিল। কিন্তু, করোনার কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়।

এদিকে, গত বছরই সংসদে পাস হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল। কিন্তু, জনগণনার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেই আইন কার্যকর করা সম্ভব নয়। এক দেশ, এক নির্বাচন নীতি কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর তৃতীয় মোদী সরকারকে এই দিকটিও মাথায় রাখতে হচ্ছে। ফলত, জনগণনার কাজটি তাদের নিজেদের লক্ষ্যপূরণের স্বার্থেই সেরে ফেলতে হবে।