Dalit Boy Dead in UP: পুলিশের অত্যাচারে মৃত কিশোর, যোগী রাজ্যে ফের দলিত নিধন!

আবারও উত্তরপ্রদেশ! আবারও দলিত নিধনের অভিযোগ! এবার ১৬ বছরের এক দলিত কিশোরকে খুনের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল লখিমপুর খেরি।

সূত্রের দাবি, গত ৩ সেপ্টেম্বর চুরির অভিযোগে ওই কিশোরকে তুলে নিয়ে যায় যোগী সরকারের পুলিশ। অভিযোগ, এরপর থানায় নিয়ে গিয়ে ছেলেটির উপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হয়। তার জেরেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। শনিবার স্থানীয় একটি হাপাতালে মৃত্যু হয় তার।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, এই ঘটনা জানাজানি হতেই পুলিশের তরফ থেকে তাঁদের মোটা টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বদলে গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

এই অবস্থায় দোষী পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর পদক্ষেপ করার আবেদনে সরব হয়েছেন নিহত কিশোরের পরিজনেরা। নিজেদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে স্থানীয় সিসাওয়ান কালা গ্রামের বাসিন্দা ও আত্মীয়দের সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ থানার কাছেই রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএইচও রাজেশ কুমার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। প্রাথমিকভাবে তিন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ‘গাফলিতি’র প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুলিশ সুপার গণেশ প্রসাদ সাহা জানিয়েছেন, সেপ্টিসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, চিকিৎসকেরা কিশোরের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাননি!

প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে দলিত শোষণের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, যোগ জমানায় এই ধরনের অত্যাচার আরও বেড়েছে। বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিরও একই বক্তব্য।

উল্লেখ্য, হাথরস কাণ্ডের সময়েও উত্তরপ্রদেশের বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারের দলিত-বিরোধী অবস্থান নিয়ে সারা দেশে অনেক হইচই হয়েছিল। দলিত কন্যার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তথাকথিত উচ্চবর্ণের অভিযুক্তদের বাঁচাতে প্রশাসনের তরফ থেকে চেষ্টায় কোনও খামতি রাখা হয়নি বলে আজও দাবি করেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা।

এমনকী, গোটা ঘটনা ধামাচাপা দিতে নির্যাতিতার পরিবারের অনুমতি না নিয়ে তাঁর দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে। তাদের এই অমানবিক আচরণ নিয়ে সরব হয় সারা দেশ।

এরপর অনেকগুলো বছর কেটে গিয়েছে। পরবর্তীকালেও উত্তরপ্রদেশে একাধিক দলিত শোষণের ঘটনা সামনে এসেছে। লখিমপুর খেরিতে দলিত কিশোরের মৃত্যু, সেই তালিকায় নবতম সংযোজন বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।