Kunal Ghosh: দেখুন, ‘ওরা’ আমার পেজে দলবেঁধে রিপোর্ট করছে, মহা বিপাকে কুণাল

বরাবরই সামাজিক মাধ্যমে সাবলীল কুণাল ঘোষ। আর তিনি কোনও পোস্ট করলেই এমন সব কমেন্ট করা হয় যে কমেন্ট দেখলে অনেকেই লজ্জায় চোখ বুজে ফেলেন। কিন্তু তবুও থামার নাম নেই কুণাল ঘোষের। একের পর এক প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি রকমারি সব পোস্ট করেন।

তবে আরজি কর আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন একটা অদ্ভূত পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ। সেখানে তিনি লিখেছেন, সংগঠিত রিপোর্ট করার গ্রুপ। দেখুন আমার, আমাদের কয়েকজনের পেজ-প্রোফাইলে সংগঠিতভাবে রিপোর্ট মারা হচ্ছে। ‘ওরা’ যুক্তিতর্কে সামলাতে পারছে না। দলবেঁধে রিপোর্ট করার সিদ্ধান্ত ‘ওদের’ গ্রুপে।

এরপর তিনি কিছু স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। সেখানে কিছু মেসেজ রয়েছে। সেই মেসেজের স্ক্রিনশট তিনি শেয়ার করেছেন। তবে কুণাল সরাসরি কারোর কথা উল্লেখ করেননি। তিনি লিখেছেন ওরা আর ওদের।

 

তার আগে অপর একটি স্ক্রিনশটের সঙ্গেই লিখেছেন, দেখুন আমার, আমাদের কয়েকজনের পেজ, প্রোফাইলে সংগঠিতভাবে রিপোর্ট মারা হচ্ছে। ওরা যুক্তিতর্কে সামলাতে পারছে না। দলবেঁধে রিপোর্ট করার সিদ্ধান্ত ‘ওদের’ গ্রুপেই।

তবে তিনি সরাসরি ওদের বলতে কাদের কথা বলতে চেয়েছেন সেটা উল্লেখ করেননি।

তবে এই পোস্টের উত্তরে এক নেটিজেন লিখেছেন, আপনাকে এত স্ক্রিনশট, ফোন রেকর্ডিং কে সেন্ড করে? এতো যোগাযোগ যখন যুক্তিতে পারেন না তখন আপনি কেন বলেন আমি সরকারের কেউ না।

অপর একজন লিখেছেন, লোকের ফোন ট্যাপ করুন কল রেকর্ড ঘাটুন, চ্যাট দেখুন কারো কাছ থেকে নিন যা খুশি তাই করুন। কিন্তু সবাই জানে একনায়করা কখনই চিরকাল থাকতে পারে না বিশেষত আমাদের মতো অল্প হলেও গণতন্ত্র থাকা দেশে। মানুষ কষ্ট পাচ্ছে পাবে। আর এই কষ্টই একদিন আপনাদের তাড়াবে। মনে রাখবেন কথাটা।

অপর একজন লিখেছেন, খোলা হাওয়ায় ডিবেট করতে চায় মানুষ আপনার সাথে। পারলে চলে আসুন ধর্না মঞ্চে।

এদিকে রবিবার কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, আন্দোলনকারীদের একাংশ আন্দোলন চালানোর পাশাপাশি কাজে ফিরতে চাইলেও অন্য একটা অংশ তাতে বাধা দিচ্ছে। এমনকী, অবস্থানগত ফারাকের জন্য আন্দোলনকারীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সংঘাত শুরু হয়েছে বলেও দাবি করেন কুণাল। এই প্রেক্ষিতেই সংশ্লিষ্ট অডিয়ো রেকর্ডিংটি প্রকাশ্যে আনেন তিনি।

তার জবাবে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেছিলেন ‘কুণাল ঘোষ কী বললেন তাতে কিছু যায় আসে না। আমাদের মধ্যে কোনও সংঘাত নেই। মতপার্থক্য অবশ্যই থাকে। আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে সর্বসম্মতভাবে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে চলাই হল গণতান্ত্রিক পদ্ধতি। যে কোনও গণতান্ত্রে এভাবেই কাজ হয়।’