বছরের প্রথম ৬ মাসে গণমাধ্যমের যত ভুল, মার্চে সবচেয়ে বেশি

গণমাধ্যমে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্য প্রচার হতে দেখা গেছে। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে জানা যায়, সবচেয়ে বেশি ভুল সংবাদ প্রচারিত হয়েছে জাতীয় বিষয়ে। পরিসংখ্যানে বেসরকারি গণমাধ্যমের পাশাপাশি ভুল সংবাদ প্রচারের তালিকায় যেমন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমও রয়েছে তেমনি বাদ যায়নি বিদেশি গণমাধ্যমও। এই ৬ মাসে বাংলা ট্রিবিউনের কোনও ভুল শনাক্ত হয়নি। রিউমার স্ক্যানারের ওয়েব সাইটে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশের গণমাধ্যমগুলোতে ভুল সংবাদ প্রকাশের হার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। রিউমর স্ক্যানারের ওয়েবসাইটে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রকাশিত ফ্যাক্টচেকগুলোয় গণমাধ্যমের ভুলগুলো বিশ্লেষণ এবং পূর্বের পরিসংখ্যানের সঙ্গে তুলনা করে এমন তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে।

রিউমর স্ক্যানার চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত এই পরিসংখ্যানে দেশের ১৬৪টি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলো যাচাই করেছে। এই সংবাদমাধ্যমগুলোতে সর্বোচ্চ ২০টি থেকে সর্বনিম্ন একটি ভুল তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া গেছে।  চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ভুল না পাওয়ায় পূর্বের পরিসংখ্যানে (২০২৩ সালের শেষ ছয় মাসের) থাকা ৫৮টি সংবাদমাধ্যমকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে ভুল তথ্যের প্রমাণ মিলেছে এমন আরও ১৮টি সংবাদমাধ্যম নতুন করে যুক্ত হয়েছে এই পরিসংখ্যানে। সব মিলিয়ে ১৬৪টি সংবাদমাধ্যমে থাকা ৬৮১টি প্রতিবেদন যাচাই করে ভুল তথ্য প্রচারের প্রমাণ মিলেছে এবার।

গণমাধ্যমে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৭৮টি প্রতিবেদনকে ভুল হিসেবে শনাক্ত করেছে রিউমর স্ক্যানার। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২২টি ভুল তথ্য (২৮ শতাংশ) শনাক্ত হয়েছে মার্চ মাসে। এপ্রিলে শনাক্ত হয়েছে ১৪টি (১৮ শতাংশ)। সবচেয়ে কম ভুল তথ্য শনাক্ত হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে, ৭টি।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মোট ৭৮টি ঘটনায় ৪১টি মিথ্যা, ৩৫টি বিভ্রান্তিকর এবং ২টি বিকৃত তথ্যকে সত্য তথ্য হিসেবে গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

এই পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, এসব ঘটনায় মিথ্যা তথ্য প্রচারের হার ছিল প্রায় ৫২ শতাংশ। তাছাড়া, বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর হারও নেহায়েত কম নয়, প্রায় ৪৫ শতাংশ।