এমবাপ্পে-এন্দ্রিকের গোলে রিয়ালের ঘাম ছুটানো জয়

চ্যাম্পিয়নস লিগে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মিশনে নেমেছে রিয়াল মাদ্রিদ। মঙ্গলবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে স্টুটগার্টকে তারা ৩-১ গোলে হারিয়েছে। স্কোর কিন্তু ম্যাচের পুরো চিত্র ফুটিয়ে তুলছে না। কিলিয়ান এমবাপ্পে ও এন্দ্রিকের গোলে কষ্ট করে জিতেছে মাদ্রিদ ক্লাব।

দর্শকে ঠাসা বার্নাব্যু স্টেডিয়ামে স্টুটগার্টই ছিল সেরা দল। মাদ্রিদ কিপার থিবো কোর্তোয়া জার্মান দলের বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা রুখে দেন।

তবে ম্যাচে প্রথম গোল করেছে রিয়ালই। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে রদ্রিগোর ক্রসে কিলিয়ান এমবাপ্পে গোলপোস্টের বেশ কাছ থেকে জাল কাঁপান।

স্টুটগার্ট সমতায় ফেরে ৬৮তম মিনিটে, ডেনিস উন্ডাভের হেডে। বাকি সময়ে দাপট দেখিয়েছে রিয়াল।

৮৩তম মিনিটে স্কোর ২-১ করে মাদ্রিদ ক্লাব। বদলি নামা লুকা মদরিচের কর্নার থেকে ছয় গজ বক্সে দাঁড়ানো অ্যান্তোনিও রুদিগারের হেড জাল খুঁজে পায়। তারপর আরেক বদলি খেলোয়াড় এন্দ্রিক যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে অসাধারণ গোল করেছেন। চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষেক ম্যাচে নিজেদের প্রান্ত থেকে বল একাই টেনে নিয়ে বক্সের বাইরে থেকে গোল করেন তিনি। ১৮ বছর ১ মাস ২৭ দিন বয়সী ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হলেন। আগের রেকর্ড ছিল রাউলের, ১৮ বছর ৩ মাস ২১ দিন বয়সে গোল করেন তিনি।

ভিনিসিয়ুস জুনিয়ার ও এমবাপ্পেকে পাস দেওয়ার সুযোগ থাকলেও একাই গোল করার সাহস দেখিয়ে কোচের প্রশংসা পাচ্ছেন এন্দ্রিক। কার্লো আনচেলত্তি বলেছেন, ‘তার পায়ে বল ছিল, এটা ছিল কাউন্টার অ্যাটাক। গোলে শট নেওয়ার সাহস তার ছিল।’

৯০ মিনিটের খেলা নিয়ে তার মূল্যায়ন, ‘এটা ভালো ছিল। কিছুটা কঠিন সময়ের মধ্যে ছিলাম, এটা স্বাভাবিক। আমার কোনও সহজ ম্যাচের কথা মনে পড়ে না। আপনাকে ভুগতেই হবে, বিশেষ করে শুরুতে, যখন আপনি আপনার সেরা সংস্করণ পাবেন না এবং কিছুটা মাশুল দিতে হবে। সমতা ফেরানোর পরই হয়তো ম্যাচ শেষ হয়ে যেতো। কিন্তু আবার গোল করার শক্তি আমাদের ছিল।’