ছিমছাম সাজে বিয়ের পিঁড়িতে ‘বিব্বোজান’

নেই কোনও জাঁকজমক আয়োজন, নেই আতশবাজির ঝলকানি। কোনও মেহেদি বা সংগীতের অনুষ্ঠান কিংবা তারকাদের মিলনমেলাও নেই। একেবারেই অনাড়ম্বর আয়োজনে সম্প্রতি সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন হীরামন্ডির ‘বিব্বোজান’ অদিতি রাও হায়দারি। বর অভিনেতা সিদ্ধার্থ সূর্যনারায়ণ। দীর্ঘদিনের প্রেমের পর এই বছরই আনুষ্ঠানিকভাবে বাগদানের ঘোষণা দেন এই জুটি। ৪৫ বছর বয়সী সিদ্ধার্থের জন্ম তামিলনাড়ুতে। অন্যদিকে ৩৭ বছর বয়সী অদিতি রাও হায়দারির মা-বাবা দুজনই রাজপরিবারের সদস্য। 

তেলেঙ্গানা রাজ্যের ওয়ানাপার্থি জেলার প্রায় চারশ বছরের পুরনো শ্রী রঙ্গনাথ স্বামী মন্দিরে মালাবদল করেন এই তারকাজুটি। সাজপোশাক ও আয়োজনে ধরে রেখেছিলেন মিনিমালিজম। সোনালি জরির অরগাঞ্জা টিস্যু শাড়ি পরেছিলেন অদিতি। সঙ্গে ছিল হাফ হাতা সোনালি ব্লাউজ। ভারী কোনও অলঙ্করণ বা নকশা ছিল না ব্লাউজে, কেবল সোনালি সুতা দিয়েই সাজানো হয়েছিল ব্লাউজ। অদিতির বিয়ের পোশাকের নকশা করেছেন সব্যসাচী মুখার্জি।

গয়নায় দক্ষিণ ভারতীয় আমেজ ছিল লক্ষণীয়। নাকে পরেছিলেন নথ, হাতে চওড়া বালা। গলায় ছিল রুবি পাথরখচিত কুন্দন জুয়েলারি। সাথে মানানসই ঝুমকা। চুল ঢিলেঢালা করে বেণি করে যোগ করেছেন বেলির স্নিগ্ধতা। হাত ভরে মেহেদি না পরে কেবল অর্ধচন্দ্র এঁকে নিয়েছেন হাতে ও পায়ে। 

অর্ধচন্দ্র এঁকেছিলেন হাতে ও পায়ে। ছবি- সংগৃহীত

বিয়ের আয়োজনে অদিতি রাও হায়দারি ও সিদ্ধার্থ সূর্যনারায়ণ। ছবি- সংগৃহীত

বর সিদ্ধার্থও ছিলেন সাদামাটা সাজে। সাদা রঙের পাঞ্জাবি আর সোনালি পাড়ের সাদা ধুতি পরেছিলেন তিনি। দক্ষিণ ভারতে ভেস্তি নামে পরিচিত এই পোশাক।

তথ্যসূত্র: পিঙ্কভিলা এবং দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস