রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের পরিবর্তন দরকার: জোনায়েদ সাকি

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন পরিবর্তন দরকার মন্তব্য করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দল নিবন্ধনের যে আইন ও বিধি তৈরি করা হয়েছে, তা জনগণের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করে, রাজনৈতিক দল গড়ে তোলার অধিকার ক্ষুণ্ন করে। ফলে নিবন্ধন আইন পরিবর্তন করে সহজ করে তোলা এবং প্রতীক অবারিত করা, যেন দল তার পছন্দসই প্রতীক বাছাই করতে পারে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তার দল গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে নিবন্ধন সনদ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ব্যক্তকালে এ কথা বলেন। এরআগে নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা মাথাল প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করেছি। প্রতীক ইসির আইনের মধ্য থেকে বাছাই করতে হয়েছে। আমরা মনে করি, এই আইনগুলো পরিবর্তন করা দরকার। পুরো নিবন্ধন বিধিমালাই পরিবর্তন করা দরকার।

দলের নিবন্ধন পাওয়ার পর জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সচিব আজ আমাদের কাছে নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর করেছেন। দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর ধরে আমরা বিগত সরকারের একটা নিবর্তনের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছি। ২০১৭ সালে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করি। সব শর্ত পূরণ করলেও ইসি থেকে বলা হয়, আমাদের গঠনতন্ত্রে অঙ্গ সংগঠন নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও বক্তব্য নেই। অঙ্গ সংগঠন যে থাকতে পারবে না, তা গঠনতন্ত্র উল্লেখ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার যে নিবর্তনমূলক ছিল দলগুলোর ওপর, তারা যেভাবে ফ্যাসিস্ট কায়দায় জনগণের অধিকারকে হরণ করতে চেয়েছে, একই কায়দায় রাজনৈতিক দলও যাতে বিকশিত হতে না পারে, সে জন্য নানাভাবে সংকুচিত করে রাখার অংশ হিসেবেই নিবর্তনমূলকভাবে গণসংহতির নিবন্ধন আটকে রেখেছিল। নিবন্ধন নেই এই অজুহাতে নানাভাবে জেলায় জেলায় আমাদের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হয়েছে। এইভাবে তারা চাপে রেখেছিল।’

সাকি বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ মান্য করা হচ্ছে না, এই রকম দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনও আবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন। তবে আপিল চালাতে আগ্রহী কি না, সরকার পতনের পর ইসির কাছে জানতে চাইলে, তারা আপিল প্রত্যাহার করে নেয়। এভাবে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।’

নিবন্ধনের বিষয়ে ইসি সচিব শফিউল আজিম বলেন, ‘গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসেবে আবেদন করেছিল ২০১৭ সালে। এরপর আগের কমিশন আপিল না করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই অনুমোদন আগের কমিশন করে গেছে। আমরা তা ফলো করেছি মাত্র।’