Fluent English Speaking Video: ঘোমটা মাথায় ঝরঝরে ইংরেজি বলে তাক লাগালেন গ্রাম প্রধান, চমকে উঠে হাততালি দিলেন IAS টিনা

ঘোমটায় ঢাকা মুখ। সমাজের বিরুদ্ধে নন। রাজস্থানের নিয়মকানুন মেনেই নিজেও চলাফেরা করেন। অন্যদেরও শেখান। গ্রাম প্রধান, গ্রামের মুখিয়া সোনু কানওয়ার। ইংরেজিটাও খাসা। তাঁর শিক্ষা, উন্নতির আগ্রহ এদিন চোখ ধাঁধিয়ে ছেড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার নেটিজেনদের। এক শিক্ষণীয় মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছেন রাজস্থানের গ্রামবাসী। ঘোমটার আড়াল থেকেই মহিলা গ্রাম প্রধানের ঝরঝরে ইংরেজি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আইএএস টিনা দাবিও, মহিলা গ্রাম প্রধানের ইংরেজি শুনে অবাক। হাততালি দিয়েছেন আরও জোরে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের বারমের গ্রামে। আর আইএএস টিনা দাবিল সম্প্রতি এই বারমেরেরই জেলা কালেক্টর পদে নিযুক্ত হয়েছেন। এদিন, গ্রামেই আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল টিনা দাবিকে। উপস্থিত হয়েছিলেন যথা সময়ে। এই অনুষ্ঠানেই বক্তৃতা দিতে উঠে, কালেক্টরকে স্বাগত জানানোর সময়, মহিলা মুখিয়া সোনু কানওয়ারের কথা শুনে সবাই হতবাক।

আরও পড়ুন: (Delhi Fake Visa: ৫ বছরে নকল ভিসা তৈরি করে আয় ৩০০ কোটি টাকা! পুলিশের হাতে এতদিনে গ্রেফতার ৭ অভিযুক্ত)

ভিডিয়োতে কী বলতে শোনা গিয়েছে গ্রাম প্রধানকে

প্রধান সোনু, ঐতিহ্যবাহী রাজস্থানি পোশাক পরেই, সাবলীল ইংরেজিতে আইএএস টিনার প্রশংসা করেন এদিন। সোনার এই বক্তব্যই ভাইরাল হয়েছে এদিন। অনুষ্ঠানে ইংরেজিতে যা যা বলেছিলেন সোনু, তার বাংলা অর্থ খানিকটা এরকম, ‘আমি এই দিনের একটি অংশ হতে পেরে খুশি. প্রথমত, আমি আমাদের কালেক্টর টিনা ম্যামকে স্বাগত জানাই। একজন নারী হিসেবে টিনা ম্যামকে স্বাগত জানানো আমার জন্য সম্মানের।’ সরপঞ্চ সোনু তাঁর ইংরেজি বক্তৃতায় জল সংরক্ষণের কথাও বলেছেন।

ভাইরাল ভিডিয়োটি দেখুন এখানে

আরও পড়ুন: (Hina Khan: এভাবেও ফিরে আসা যায়! অসুস্থতার মাঝেই নববধূর সাজে হিনা খান)

টিনা ২০১৫ সালে লাইমলাইটে আসেন

টিনা দাবি তাঁর প্রথম প্রচেষ্টাতেই ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি) পরীক্ষায় শীর্ষস্থান লাভ করেন ২০১৫ সালে। তাঁর প্রতিভা দেখে সে সময় সাধুবাদ জানায় সারা দেশ। টিনার প্রশাসনিক কেরিয়ার শুরু হয়েছিল আজমীর থেকে, যেখানে তাঁকে সহকারী কালেক্টর হিসাবে পোস্ট করা হয়েছিল। বর্তমানে, বারমেরের কালেক্টর পদে নিযুক্ত হয়েছেন তিনি। তাঁর স্বামী, আইএএস অফিসার প্রদীপ গাওয়ান্দে জালোরের জেলা কালেক্টর। বারমের থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে থাকেন টিনার স্বামী। এর আগেও একবার বিয়ে করেন টিনা। সহকর্মী আইএএস অফিসার আতহার আমির খানের সঙ্গে তাঁর সংসার বেশিদিন স্থিতিশীল হয়নি যদিও। টিনা দাবির ছোট বোন রিয়া দাবিও ২০২০ সালে সর্বভারতীয় ১৫ নম্বরে ইউপিএসসি পাশ করেছেন।