New trekking routes: পুজোয় একটু নিরিবিলি দরকার? নাগালের মধ্যেই খুলছে নতুন ট্রেকিং রুট

পুজো মানেই খাওয়া দাওয়া, পুজো মানেই আনন্দ, তবে যেটি ছাড়া পূজো একেবারেই অসম্ভব সেটি হল পুজো মানেই ঘুরতে যাওয়া। পুজোর কয়েক মাস আগে থেকেই পাহাড়ে যাওয়ার ট্রেন, বিমান এবং হোটেল সব ফুল বুকড। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই তাই এবার প্রস্তুতি নিতে শুরু করল জিটিএ – এও।

সিকিমের রাস্তাঘাটের বেহাল দশা হওয়ায় পুজো শুরু হলেই দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ পর্যটকদের জন্য চালু হবে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস, আর তাই রবিবার থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে জিটিএ। এই প্রসঙ্গে জিটিএ-এর অ্যাডভেঞ্চার্স স্পোর্টসের কো-অর্ডিনেটর দাওয়া গিয়াৎসো বলেন, ‘পুজো শুরু হলেই তিস্তা নদীতে রাফটিং, দার্জিলিং-এর রক ক্লাইম্বিং, রোপওয়ের পাশাপাশি প্যারাগ্লাইডিং এবং ট্রেকিং শুরু হয়ে যাবে জোরকদমে।’

(আরও পড়ুন: বিশ্বকর্মা কি কোনও দেবতা? নাকি এটি দেবতাদের উপাধি! তাহলে আসল দেবতাটি কে)

তিনি আরও বলেন, ‘এই বছর পূজাতে অনুমতি পাওয়া যাবে বনাঞ্চল এলাকায় সাইক্লিন এবং মোটর বাইকিং করারও। ১লা সেপ্টেম্বর থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে, ফলে অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের পাহাড়ে আসা এবার সার্থক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।’

প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন দার্জিলিংয়ে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের জন্য। সবথেকে বেশি ভিড় হয় দার্জিলিংয়ের সান্দাকফুতে। এই শহরের সিঙ্গালিলা অভয়ারণ্য ঘুরে দেখতে হলে ট্রেকিং ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প নেই। ট্রেকিং করার সময় অক্সিজেনের ঘাটতি, পথ হারিয়ে যাওয়া বা পা পিছলে পড়া নতুন কথা নয়, এতকিছুর পরেও চোখের সামনে কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং সিঙ্গালিলার সৌন্দর্যের টানে এই কষ্ট সহ্য করতে রাজি থাকেন পর্যটকরা।

(আরও পড়ুন: কাল ঘুড়ি ওড়ানোর দিন, বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে এই দিনটি জুড়ে গেল কীভাবে)

জি টি এ সূত্রে জানা গেছে, এই বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত বুকিং মোটামুটি পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। কার্শিয়াং-এর চারটে, দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর নতুন ৩টি ট্রেকিং রুট পর্যটকদের নজর কাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কার্শিয়াং-এর নতুন চারটি ট্রেকিং রুট এমনভাবে বাছাই করা হয়েছে যাতে পর্যটকরা কার্শিয়াং-এর বিখ্যাত হোয়াইট অর্কিড চাক্ষুষ দেখতে পারেন।

এই প্রসঙ্গে হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক-এর সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে আগ্রহ আগের থেকে অনেক বেশি বেড়েছে। জিটিএ এবার সেই দিকে বাড়তি নজর দেবে। পর্যটকদের যাতে কোনও অসুবিধে না হয়, সেই দিকে কড়া নজর থাকবে সকলের।’