Ola Electric Scooter দেখে হতাশ গ্রাহক! প্ল্যাকার্ডে লিখলেন, ‘দয়া করে এটি কিনবেন না’

ব্যবসা বাড়ার আগেই ধরাশায়ী ওলা ইলেকট্রিক। সস্তায় স্কুটার বিক্রি করেও শান্তি নেই কোম্পানির। কর্ণাটকে ব্যবসা করতে গিয়ে রীতিমত নাস্তানাবুদ হচ্ছে ওলা ইলেকট্রিক। সম্প্রতি কালাবুর্গিতেই ওলার শোরুমে আগুন দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। এই ঘটনার পরে, বেঙ্গালুরুর এক মহিলাও ওলার স্কুটারকে বড় বিপদে ফেলেছেন। আগুন না লাগালেও এমন কাজ করেছেন, যা কোম্পানির ব্যবসাকে সহজেই চাপে ফেলতে পারে।

আরও পড়ুন: (Delhi Fake Visa: ৫ বছরে নকল ভিসা তৈরি করে আয় ৩০০ কোটি টাকা! পুলিশের হাতে এতদিনে গ্রেফতার ৭ অভিযুক্ত)

কী করেছেন মহিলা গ্রাহক

ইভি টু-হুইলার নির্মাতার প্রতি নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহক নিশা গৌরি। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ ওই মহিলা নিজের গাড়িরই একটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা গিয়েছে যে ওলা ইলেকট্রিক স্কুটারের সামনে আস্ত একটি প্ল্যাকার্ড ঝুলছে। আর তাতেই বড় বড় করে লেখা, ‘প্রিয় কর্ণাটকবাসী, ওলা একটি অকেজো দু-চাকার গাড়ি। আপনি যদি ভুল করেও এটি কিনে থাকেন, তবে আপনার জীবনকে আরও কঠিন হয়ে উঠবে। দয়া করে ওলার ইলেকট্রিক স্কুটার কিনবেন না।

কিন্তু কেন

মহিলা নিজের পোস্টের ক্যাপশন লিখেছেন, ‘আমি ওলা ইলেকট্রিকের বিরুদ্ধে সচেতনতা ছড়িয়ে দেব।’ কিন্তু কেন? স্কুটারটিরটির পারফম্যান্স কি এতই খারাপ। তার উত্তরও দিয়েছেন মহিলা। জানা গিয়েছে, নিশা গৌরি স্কুটারের জন্য প্রায় এক মাস অপেক্ষা করেছিলেন। এটি কেনার আগে নগদ অর্থও প্রদান করেছিলেন। কিন্তু তাঁর অভিযোগ গাড়িটি চলার সময় সময় একাধিকবার বন্ধ হয়ে যেতে। সফ্টওয়্যার আপডেট করার পরেও এই প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধান হয়নি।

আরও পড়ুন: (Health Report: ৭১ শতাংশ কর্মচারী চিকিৎসার জন্য নিজের পকেট থেকে খরচ করে, চমক রিপোর্টে)

এই পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এই ভদ্রমহিলা স্ট্যান্ডিং ওভেশনের যোগ্য। গত কয়েক বছরে ওলা একটি কোম্পানি হিসাবে খুব খারাপভাবে অবনতি করেছে। সবচেয়ে খারাপ ইভি যাকে বলে।’ আরও একজন লিখেছেন, ‘এখানেও একই হাল। ৫০ কিলোমিটারের নীচে চালালে এটি হঠাৎ চার্জ নেমে যায় স্কুটারটির। এবং খারাপ রাস্তায় চলার সময়ও এটা আওয়াজ করে।’

শোরুমে আগুন ধরিয়ে দেন ক্রেতা

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে কর্ণাটকের কালাবুর্গিতে ওলা ইলেকট্রিক শোরুমে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন ২৬ বছর বয়সী মোহাম্মদ নাদিম। ২৮ অগস্ট একটি ওলা ইলেকট্রিক স্কুটার কিনেছিলেন তিনি। ওই ব্যক্তির দাবি, ক্রমাগত ইভি নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন, কিন্তু ওলা ইলেকট্রিকের কর্মীদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছিলেন না, যার কারণে তিনি এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন। যদিও এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, ওলা অভিযুক্ত যুবকের নিন্দা করেছে। কোম্পানি হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে নাদিমের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।