TMC MP on RG Kar Case developments: আরজি করে চিকিৎসক খুন কাণ্ডে নয়া মোড়, ‘আমি খুশি’, পোস্ট ‘বিদ্রোহী’ সুখেন্দুশেখরের

আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকেই ‘বিদ্রোহী’ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। আর গতকাল কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের পর তিনি জানিয়ে দিলেন, বাকিদের মতো তিনিও ‘খুশি’ হয়েছেন। উল্লেখ্য, গতকাল, দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয় জুনিয়র ডাক্তার এবং মমতার। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঘোষণা করেন, আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সরানো হবে। বদলি হবেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা। এছাড়া কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তকেও সরানো হবে বলে জানিয়ে দেন মমতা। এই আবহে রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন সুখেন্দুশেখর। (আরও পড়ুন: ‘সমঝোতা হয়েছে’, মমতা-ডাক্তারদের বৈঠক নিয়ে গভীর রাতে বড় দাবি ঘিরে তোলপাড়)

আরও পড়ুন: ‘আরজি করে খুনের মামলায় ধামাচাপা দেওয়ার কথা মেনেছেন মমতা’,সামনে বিস্ফোরক মন্তব্য

নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সুখেন্দুশেখর লেখেন, ‘আমার ২টি দাবি ছিল – আরজি কর হাসপাতালের ২ প্রধানকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা এবং কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের জেরা করা। জুনিয়র ডাক্তার এবং লাখ লাখ মানুষের জনপ্রিয় আন্দোলনের চাপে সেই সব দাবি বাস্তবায়িত হয়েছে। সত্যমেব জয়তে। আমিও সবার মতো খুশি।’ উল্লেখ্য, এর আগে আরজি কর কাণ্ডে বারবার নিজের দল এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন সুখেন্দু। এমনকী সরাসরি কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তিনি। যার জেরে তাঁকে তলব করা হয়েছিল লালবাজারে। সেই নিয়ে হাই কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল মামলা। তবে এরপরও তিনি সরকার বিরোধী অবস্থান বজায় রেখেছিলেন।

উল্লেখ্য, সোমবার রাত প্রায় ১২ টায় কালীঘাটে নিজের বাসভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে দেওয়ার যে দাবি জুনিয়র ডাক্তাররা করেছেন, তা মেনে নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেল চারটে পর্যন্ত কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদে থাকবেন বিনীত। তারপর নয়া পুলিশ কমিশনারকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন বিনীত গোয়েল। এদিকে শুধু বিনীত নন, জুনিয়র ডাক্তাররা যাঁদের যাঁদের সরানোর দাবি তুলেছিলেন, তাঁদের প্রায় সকলকে সরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস হালদার এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (নর্থ) অভিষেক গুপ্তাকেও। তবে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে নিজের পদে রেখেছেন। কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী কোনও মন্তব্য করেননি। আর মমতার এই ঘোষণার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সুখেন্দু জানান, তিনি খুশি।