চোরাচালান শূন্যের কোটায় আসবে: সিলেট সেক্টর কমান্ডার

চোরাচালানের সাথে সীমান্তের গুটিকয়েক মানুষ জড়িত,তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে কোনো ছাড় পাবে না। চোরাচালান শূন্যের কোটা নামিয়ে আনা সম্ভব যদি এলাকার বাসিন্দারা সহযোগিতা করেন বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)সিলেট সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধ, চোরাচালান,নারী ও শিশু পাচার এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে সচেতনতামূলক সভায় তিনি কথা গুলো বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন,সুনামগঞ্জে বিজিরি প্রায় চারশ সদস্য বাড়ানো হয়েছে টহলও বেড়েছে এরপরও অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করা বন্ধ করতে হবে। সীমান্তে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু একটি পরিবারকে নিঃস্ব করে দেয় তাই আপনারা সচেতন হন নিজেদের স্বার্থে। দরিদ্র মানুষজন অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম না করে ও সীমান্তে চোরাচালানে যুক্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বিজিবি সহায়তা করবে। যাদের যা প্রয়োজন জাল,বীজ,ছোট দোকান,সেলাই মেশিন দেওয়া হবে। 

কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন,চোরাচালান প্রতিরোধে স্থানীয় মানুষদের দায়িত্ব আছে উল্লেখ্য করে বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, বিজিবি, প্রশাসন, পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করলে এবং মানুষ সচেতন হলে চোরাচালান কমে আসবে।

উপজেলার সীমান্তবর্তী ধনপুর ঈদগাহে দুপুরে এই সভা হয়। এতে প্রশাসন, পুলিশ,বিজিবির কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে বিজিবির উদ্যোগে বিনামূল্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ প্রদান করা হয়।

বিজিবির সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটেলিয়ানের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জে বিজিবির ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির,বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মফিজুর রহমান,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক,স্থানীয় ধনপুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল হালিম,ধনপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন। 

 



শাকিল/সাএ