Kunal Ghosh on Viral Audio Case: অডিয়ো কাণ্ডে কুণালকে জেরার পক্ষে সওয়াল HC-র, কলতান ছাড়া পেতেই পালটা বিস্ফোরক TMC নেতা

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের মাঝেই এক বিস্ফোরক অডিয়ো ক্লিপ (অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষের। সেখানে কুণাল দাবি করেছিলেন, স্বাস্থ্যভবনের কাছে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মারধরের ‘ছক’ কষা হচ্ছিল। যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। সেই ঘটনাতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন বাম নেতা কলতান দাশগুপ্ত। এরপরই ফের মুখ খুললেন কুণাল ঘোষ। এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে কুণাল লেখেন, ‘জামিন যে কারও হতে পারে। তবে এটা যে সত্যিকারের অডিয়ো তা প্রমাণিত।’ (আরও পড়ুন: সামনে চাঞ্চল্যকর তথ্য, আরজি কর খুন কাণ্ডে TMCP নেতার ওপর নজর CBI-এর)

আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে ধৃতের থেকেই সামনে সন্দীপের আরও ‘পাপ’, শুনলে খাড়া হবে মাথার চুল

কী বলেছেন কুণাল ঘোষ? তৃণমূল নেতার কথায়, ‘জামিন কারও হতেই পারে। কিন্তু প্রমাণিত: ফোন কল আসল, ফেক নয়। কারা যেন বলছিলেন আর্টিফিশিাল ইন্টেলিজেন্স? দুই, এটা সামনে আসায় বড় চক্রান্তটা আটকে গেল। ভাবুন, জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলা করে সরকারের উপর দায় চাপিয়ে কী কাণ্ডটা করা হত। সেটা আর হল না। বাকি সিপিএম কী বলছে, ধরি না।’

আরও পড়ুন: পুজোর আগে লক্ষ্মীলাভ, গার্ডেনরিচের হাতে বিশাল বরাত, তৈরি হবে ৮টি বাণিজ্যিক জাহাজ

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সিপিএমের যুবনেতা কলতান দাশগুপ্তের জামিন মঞ্জুর করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। ৫০০ টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করা হল কলতানের। পাঁচদিন জেলে থাকার পর আজ তাকে জামিন দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এর আগে আদালতে বামনেতা কলতান দাশগুপ্তকে ‘শ্রীকৃষ্ণ’ বলে অভিহিত করেছিল রাজ্য সরকার। আর এই মামলায় অপর ধৃত সঞ্জীব দাসকে ‘অর্জুন’ বলে তকমা দেওয়া হয়েছিল। শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, অডিয়োয় যে দু’জনের কণ্ঠস্বর শোনা গিয়েছে, তা তাঁদেরই বলে স্বীকার করে নিয়েছেন কলতান এবং সঞ্জীব। গত পাঁচ মাসে একে অপরকে ১৭১ বার ফোন করেছেন তাঁরা। ফলে তাঁরা একে অপরকে চেনেন। তবে কলতান এবং সঞ্জীবের গ্রেফতারির আগেই কীভাবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষের হাতে সেই অডিয়ো ক্লিপ চলে গেল, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ সরাসরি কুণালের নাম করেননি। তবে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, অভিযুক্তরা পুলিশের হাতে ধরা পড়ার আগেই কীভাবে এক রাজনৈতিক নেতার কাছে অডিয়ো ক্লিপ চলে গেল? যাঁর কাছে পেনড্রাইভ পাওয়া গিয়েছে, তাঁকে কি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে?

আরও পড়ুন: সত্যি কি ট্রাম্প-মোদী সাক্ষাৎ হবে আগামী সপ্তাহে? অবশেষে মুখ খুলল বিদেশ মন্ত্রক

প্রসঙ্গত, প্রথম যেদিন নবান্নে গিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক ভেস্তে গিয়েছিল, সেদিন কুণাল এই অডিয়ো প্রকাশ করে দাবি করেছিলেন, বাম এবং অতি বাম সংগঠনের দুই নেতার সেই কথোপকথনে ‘হামলার ছক’ সামনে এসেছে। এই আবহে উক্ত কথোপকথনে বাম নেতা কে, তা নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপে এক জনকে ‘স’ বলে সম্বোধন করা হয়েছিল। এবং কথোপকথনের অন্যদিকে থাকা ব্যক্তিকে ‘ক’ বলে সম্বোধন করা হয়েছিল। পরে সঞ্জীব নামে এক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছিলেন। আর তারপরদিনই কলকাতনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।