Silk Park in West Bengal: পুজোর আগেই বাংলায় সিল্ক পার্ক খুলছে রাজ্য সরকার, ৫২টা স্টল, বিরাট কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা

বাংলায় ফের নতুন করে শিল্পভাবনা। মালদায় রেশমশিল্পকে বাঁচিয়ে তুলতে সিল্ক পার্ক খোলার ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। আর এই সিল্ক পার্ক খোলা হলে একদিকে যেমন মালদার রেশম শিল্পের প্রভূত উন্নতি হবে। তেমনি প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ হবে। ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারবে এলাকার আর্থ সামাজিক ব্যবস্থা। 

তবে মালদার সঙ্গে একদিকে যেমন আমের নাম জড়িয়ে গিয়েছে। তেমনি মালদার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সিল্কের নামও। প্রাচীন কাল থেকেই মালদায় রেশম শিল্পের প্রসার লাভ করেছিল। পুরনো নানা বইতেও তার নজির রয়েছে বলে দাবি করা হয়। 

অর্থশাস্ত্রে চানক্যও এই সিল্কের কথা উল্লেখ করেছিলেন। এখান থেকে বিদেশেও সিল্কের সামগ্রী রফতানি করা হত। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গোটা বিশ্বের কাছে মালদার মসলিন রফতানি করত। এর মাধ্যমে তারা বিরাট লাভও করত। তবে ধীরে ধীরে সেই রেশম শিল্পে ভাটা পড়ে যাচ্ছিল। তবে পরবর্তীতে সরকারি উদ্যোগে ফের রেশম শিল্পে নতুন করে জোয়ার আনার চেষ্টা করা হয়। এবার তৈরি হল সিল্ক পার্ক। মূলত উৎপাদিত সামগ্রী যাতে সহজেই বিপননের ব্যবস্থা করা যায় সেটা দেখা হচ্ছে। 

মধুঘাট এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে এই সিল্ক পার্ক। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারেই গড়ে তোলা হয়েছে এই সিল্ক পার্ক। ১ অক্টোবর থেকে এখানে উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই সিল্ক পার্ক। এই পার্কে রয়েছে সব মিলিয়ে ৫২টি স্টল। এখানে সিল্কের নানা সামগ্রী বিক্রি করা হবে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও চুক্তির ভিত্তিতে এখানে স্টল পেতে পারেন। এর জেরে কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়়তে পারে। সিল্কের উৎপাদনও বাড়বে। এর জেরে মালদার সিল্কের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা হাজার হাজার মানুষের আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে এবার বড় উন্নতির সম্ভাবনা। অন্তত ৬৭,০০০ রেশম চাষি এতে উপকৃত হতে পারেন। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডেক্স সূত্রেও খবর। 

এই শিল্পের সঙ্গে বিপননের উপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে। এবার থেকে যারা মালদায় কাজেকর্মে বা বেড়াতে যাবেন তাঁরা একবার এই সিল্ক পার্কও দেখে যেতে পারেন। পছন্দমতো সিল্কের সামগ্রী মিলবে এখানে। 

অন্যদিকে এই সিল্ক পার্ককে কেন্দ্র করে একদিকে যেমন রেশম শিল্প বাঁচবে তেমনি গোটা বাংলা জুড়ে সিল্কের যে চাহিদা রয়েছে সেটা মেটাতে পারবে এই সিল্ক পার্ক।