Software Engineer suicide: কাজের চাপ সামলাতে পারেননি, নিজেকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ার

কাজের চাপ সামলাতে না পেরে চরম পদক্ষেপ নিলেন এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। নিজেকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে জীবন শেষ করে দিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর ওল্ড মহাবালিপুরম রোডের (ওএমআর) কাছে থাঝাম্বুরে। বাড়িতে একা থাকার সময় বৈদ্যুতিন তার জড়িয়ে নিজেকে শক দেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। মৃত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের নাম কার্তিকেয়ান (৩৮)।

আরও পড়ুন: দেরি করায় ডেলিভারি বয়কে তিরস্কার, তামিলনাড়ুতে অপমানে আত্মঘাতী তরুণ

জানা গিয়েছে, কার্তিকেয়ান থেনির বাসিন্দা। স্ত্রী কে জয়রানি মন্দির থেকে বাড়ি ফিরে কার্তিকেয়ানের গোটা শরীরে তার জড়ানো অবস্থায় দেখতে পান এবং তাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পুলিশ জানিয়েছে, কার্তিকেয়ান গত ১৫ বছর ধরে পল্লভরামের একটি সফ্টওয়্যার ফার্মে চাকরি করছিলেন। তিনি স্ত্রী কে জয়রানি এবং তাদের দুই সন্তানের সঙ্গে থাকতেন। দুই সন্তানের বয়স ৮ ও ১০ বছর। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, কাজের অত্যাধিক চাপ সামলাতে পারেননি তিনি। এর জন্য গত কয়েকমাস ধরে তিনি হতাশাগ্রস্ত ছিলেন।

 গত দুমাস ধরে মেদাভাক্কামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। জানা গিয়েছে, সোমবার জয়রানি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বন্ধুদের সঙ্গে থিরুনাল্লারু মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। কার্তিকেয়নকে বাড়িতে একাই রেখে তিনি তার সন্তানদের মায়ের কাছে রেখে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে ফিরে এসে দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। বারবার ধাক্কা দিলেও কোনও সাড়াশব্দ পাননি তিনি। শেষে একটি বিকল্প চাবি ব্যবহার করে দরজা খোলেন। ঘরে ঢোকা মাত্রই কার্তিকেয়ানকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। 

পুলিশ জানিয়েছে, কার্তিকেয়ান অর্ধনগ্ন অবস্থায় ছিলেন। তাঁর গোটা শরীরে বৈদ্যুতিন তার জড়ানো ছিল। সেই তারটি একটি প্রধান বিদ্যুৎ সরবরাহ বক্সের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। তা দেখে আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন জয়রানি। তিনি প্রতিবেশীদের ডাকেন। তারা তাজাম্বুর পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ক্রোমপেট সরকারি হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে। তার চরম পদক্ষেপের পিছনে অন্য কারণ রয়েছে কিনা তা তদন্ত করছে।