Railway Track Sabotage: রেললাইনের ক্ষতি করছে কারা? দুর্বৃত্তদের ধরতে আসরে এনআইএ, জানালেন মন্ত্রী

যারা রেলযাত্রীদের জীবনের বাজি রেখে রেলওয়ে ট্র্যাক বা রেললাইনে নানা ধরনের জিনিসপত্র রেখে যাচ্ছে, বা নানাভাবে রেললাইনের ক্ষতি করছে, তারা কারা? সেই দুর্বৃত্তদের পাকড়াও করতে এবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র দ্বারস্থ হল রেল।

মঙ্গলবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজেই এই তথ্য দিয়ে জানিয়েছেন, যারা রেললাইনের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে, এবার এনআইএ তাদের খুঁজে বের করবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘রেল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাগুলি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে দেখছে। আমরা সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সরকারের সঙ্গে লাগাতার সম্পর্ক রাখছি। একইসঙ্গে, সেইসব রাজ্যের ডিজিপি ও মুখ্যসচিবদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এনআইএ-কেও এই বিষয়ে যুক্ত করা হয়েছে।’

অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও জানিয়েছেন, ‘যারা এই ধরনের বেআইনি কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, তাদের সকলের বিরুদ্ধেই আমরা কঠোর পদক্ষেপ করব। প্রশাসন আপ্রাণ চেষ্টা করছে, যাতে এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর কখনও না ঘটে। আর সেই কারণেই আমরা দোষীদের শনাক্ত করতে চাইছি।’

রেলমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুসারে, এই ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা ঠেকাতে রেল কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকটি জোনে বিশেষভাবে নজরদারি চালাচ্ছে। আরপিএফ-এর সঙ্গেও সামঞ্জস্য রাখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে সংশ্লিষ্ট ট্রেনচালকের তৎপরতায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা আটকানো সম্ভব হয়। ট্রেন চালানোর সময়েই ওই লোকো পাইলট দেখতে পান, লাইনের উপর আড়াআড়িভাবে কিছু একটা ফেলে রাখা হয়েছে। তার উপর দিয়ে ট্রেন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। প্রাণ যেত বহু মানুষের।

সেই ঘটনার ঠিক পরই রেল কর্তৃপক্ষের তরফে এই ধরনের ঘটনা রুখতে এনআইএ তদন্তকারীদের সাহায্য নেওয়ার এই সিদ্ধান্তটি প্রকাশ্যে এল। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রসঙ্গত, গত পরশুই (২২ সেপ্টেম্বর) কানপুর থেকে প্রয়াগরাজ যাওয়ার পথে একটি মালগাড়ির চালক দেখতে পান, লাইনের উপর রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার রাখা রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে এমার্জেন্সি ব্রেক ব্যবহার করেন তিনি। ফলে সময় মতো ট্রেনটি থামাতে সমর্থ হন।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বরও কানপুরে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। সেবার কালিন্দী এক্সপ্রেসের যাত্রাপথে রেললাইনের উপরেই রেখে দেওয়া হয়েছিল একটি গ্যাস সিলিন্ডার ও অন্যান্য আপত্তিকর সামগ্রী।

অন্যদিকে, আরও একটি ঘটনায় রেলেরই তিন কর্মীর বিরুদ্ধে রেললাইনের যন্ত্রাংশ খুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের দাবি, বিখ্যাত হতে এবং আর্থিক পুরস্কারের লোভে তাঁরা এই কাজ করেছেন। গুজরাতের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।