চাকরি ছাড়তে চাপ, না মানায় বাংলাদেশে অন্তঃসত্ত্বা হিন্দু শিক্ষিকার ওপর নির্যাতন

হাসিনা সরকারের পতনের পর যেন বাংলাদেশকে হিন্দুদের বধ্যভূমে পরিণত করেছে জামাতসহ সেদেশের চরমপন্থী ইসলামিক সংগঠনগুলি। সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে হিন্দুদের। এবার সেই নির্যাতনেরই এক চরম রূপ দেখা গেল বাংলাদেশে। বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পেইজে প্রকাশিত এক ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে। গর্ভবতী এক হিন্দু মহিলাকে রাস্তা দিয়ে ধাক্কা দিতে দিতে নিয়ে যাচ্ছে উন্মত্ত জনতা।

আরও পড়ুন – ১ কিউসেক মানে কত ক্যুইন্টাল, জানেন কি?

পড়তে থাকুন – উৎসব নয়, পুজো হবে, অনুদান ফিরিয়ে জানাল আরজি করের নির্যাতিতার পাশের পাড়ার পুজো

 

সোশ্যাল মিডিয়ার ওই পোস্টে দাবি করা হয়েছে, নির্যাতিতা মহিলার নাম শিখারানি রায়। তিনি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরের একটি সরকারি স্কুলে সহশিক্ষিকা। গর্ভবতী শিখাদেবীকে বেশ কিছুদিন ধরে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিলাল পদত্যাগ করতে চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু কিছুতেই পদত্যাগ করতে রাজি ছিলেন না শিখাদেবী। পদত্যাগ করতে অস্বীকার করায় তিনি ওই শিক্ষিকাকে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। এর পর এলাকার উন্মত্ত ইসলামিক চরমপন্থী দুষ্কৃতীরা তাঁকে ধাক্কা দিতে দিতে এলাকা থেকে বার করে দেয় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন – কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? বিহারের ২ ছাত্রকে ওঠবোসের ঘটনায় মমতার পুলিশকে চিঠি নীতীশদের

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে হিন্দুদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য। অভিযোগ, হাসিনা সরকার আসার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের সরকারি চাকরিতে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। যার ফলে প্রশ্ন উঠছে, সেদেশের ছাত্র আন্দোলন সংরক্ষণের বিরুদ্ধে ছিল না হিন্দুদের সরকারি চাকরি থেকে উৎখাতের পরিকল্পনা করেই পরিচালিত হয়েছিল তারা? শুধু তাই নয়, আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করেও বাংলাদেশে হিন্দুরা আতঙ্কে রয়েছেন। ইতিমধ্যে পুজো চলাকালীন নমাজের সময় বাদ্যযন্ত্র ও লাউড স্পিকার বন্ধ রাখতে হবে ফতোয়া জারি করেছে সেদেশের একটি জেহাদি সংগঠন। যদিও সেনাবাহিনীর তরফে সেদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।