Electricity from dhapa waste: ধাপার জঞ্জাল থেকে দিনে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার পরিকল্পনা পুরসভার

ধাপায় জমে রয়েছে বর্জ্যের পাহাড়। প্রতিদিনই সেখানে জমছে হাজার হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য। সেই বর্জ্য থেকেই বিদ্যুৎ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে দীর্ঘদিনের। সুব্রত মুখোপাধ্যায় মেয়র থাকাকালীন বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ তৈরির পরিকল্পনা করেছিল কলকাতা পুরসভা। কিন্তু, নানা কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এবার সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে কলকাতা পুরসভা। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তৈরি করা হবে আলাদা প্লান্ট। কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগী সংস্থা ইঞ্জিনিয়ার ইন্ডিয়া লিমিটেড এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছে। তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছেন পুরসভার আধিকারিকরা। বৈঠকে ধাপার বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ তৈরি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ধাপায় তৈরি হবে জৈব গ্যাস, চলবে গাড়ি,পুজোর আগে ইউনিট চালুর উদ্যোগ

জানা গিয়েছে, বর্জ্য ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য একটি আলাদা প্লান্ট তৈরি করা হবে। প্রাথমিকভাবে ওই প্লান্ট থেকে বিদ্যুৎ তৈরির জন্য প্রতিদিন ১০০০ মেট্রিক টন করে বর্জ্য ব্যবহার করা হবে। এরপরে ধাপে ধাপে বর্জ্যের ব্যবহার বাড়ানো হবে। তারফলে বিদ্যুতের উৎপাদনও বাড়বে। যদিও এখনও পর্যন্ত প্লান্ট কোথায় হবে? কত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে বা উৎপাদিত বিদ্যুৎ কীভাবে খরচ করা হবে? সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে পুরসভার তরফে ধাপা থেকে ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন বর্জ্য সরানোর জন্য একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা ধাপে ধাপে সেই কাজ করছে। 

এই সংস্থাটি বিকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতিদিন বিশেষ ধরনের বর্জ্য ওড়িশার রাজভঞ্জপুর এবং ছত্তিশগড়ে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আধিকারিকদের বক্তব্য, এই বর্জ্যকে ‘রিফিউজ ডিরাইভ ফুয়েল’ বা আরডিএফ বলা হয়। এই ধরনের বর্জ্য বা জঞ্জাল যা পুনরায় ব্যবহার করা যায় না। তবে সেই সমস্ত বর্জ্য পুড়িয়ে শক্তি উৎপাদন করা সম্ভব। যদিও সেখানে প্লান্ট তৈরি হবে কিনা তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

প্রসঙ্গত, ধাপায় যে পরিমাণ বর্জ্য রয়েছে তা কমানোর জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কাজে লাগাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। সেক্ষেত্রে জৈব সার তৈরি করা থেকে শুরু করে বায়ো গ্যাস তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও দেড় হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য থেকে যাচ্ছে ধাপায়। সেই বর্জ্যকেই কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায়ছে কলকাতা পুরসভা। আধিকারিকদের মতে, এরফলে শুধু বিদ্যুতের চাহিদা মিটবে তাই নয়, কর্মসংস্থানও হবে। তাছাড়া বর্জ্যকেউ কাজে লাগানো যাবে।