Radhika Khera: ‘রাহুলের যাত্রার সময় মদ অফার করেছিল,’ কংগ্রেস ছেড়েই সরব রাধিকা

সদ্য কংগ্রেস ছেড়েছেন রাধিকা খেরা। এরপরই ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন কংগ্রেস নেত্রী রাধিকা খেরা সোমবার তাঁর আগের দলের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনেছেন।

খেরার দাবি, অযোধ্যায় রাম মন্দিরে যাওয়ার পর থেকেই কংগ্রেস তাঁকে ঘৃণা করতে শুরু করে। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা চলাকালীন ছত্তিশগড় কংগ্রেসের মিডিয়া চেয়ারপার্সন তাঁকে মদ অফার করেছিলেন।

দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে খেরা দাবি করেন, কংগ্রেস তাঁকে নির্বাচনের সময় মন্দিরে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

‘আমি সবসময় শুনেছি যে কংগ্রেস রাম বিরোধী, সনাতন বিরোধী এবং হিন্দু বিরোধী, কিন্তু আমি কখনই এটি বিশ্বাস করিনি। মহাত্মা গান্ধী প্রতিটি সভা শুরু করতেন ‘রঘুপতি রাঘব রাজা রাম’ দিয়ে। আমি এই বাস্তবতার মুখোমুখি হই যখন আমি আমার ঠাকুমার সঙ্গে রাম মন্দিরে যাই এবং সেখান থেকে ফিরে আমার বাড়ির দরজায় ‘জয় শ্রীরাম’ পতাকা লাগিয়ে দিই এবং তারপরে কংগ্রেস পার্টি আমাকে ঘৃণা করতে শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, ‘যখনই আমি ছবি বা ভিডিও পোস্ট করেছি, আমাকে ধমক দেওয়া হয়েছে এবং জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যে নির্বাচন চলাকালীন আমি কেন অযোধ্যা গিয়েছিলাম।

 

সোমবারের সাংবাদিক সম্মেলনে খেরা অভিযোগ করেন, রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা চলাকালীন ছত্তিশগড় কংগ্রেসের মিডিয়া চেয়ারম্যান সুশীল আনন্দ সুখা তাঁকে মদ অফার করেছিলেন।

রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার সময় ছত্তিশগড় কংগ্রেসের মিডিয়া চেয়ারম্যান সুশীল আনন্দ সুখা আমাকে মদ খাওয়ার জন্য় বলেন। 

খেরা আরও দাবি করেছিলেন যে সুখা তাকে দুর্ব্যবহার ও গালিগালাজ করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘৩০ এপ্রিল আমি যখন ছত্তিশগড় কংগ্রেসের মিডিয়া চেয়ারম্যান সুশীল আনন্দ সুখার সঙ্গে কথা বলতে যাই, তখন তিনি আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন এবং গালিগালাজ করতে শুরু করেন। আমি অনেক চিৎকার করলাম। আমিও চিৎকার করে লোকজনকে নীচে গিয়ে সাধারণ সম্পাদককে ডাকতে বলেছিলাম, কিন্তু কেউ নড়েনি। তারপর যখন আমি ফোন বের করে বললাম যে আমি আপনার কথা রেকর্ড করছি, তখন সুশীল আনন্দ শুক্লা ইশারা করলেন এবং সেই ঘরে থাকা আরও দু’জন ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিলেন। ঘরটি প্রায় এক মিনিটের জন্য তালাবদ্ধ ছিল এবং আমাকে গালিগালাজ করা হয়েছিল। মুঝে গন্ডি গালিয়া দি গয়…‘ যোগ করেন তিনি।

খেরা বলেন, তিনি প্রবীণ কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট এবং জয়রাম রমেশকে এই ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছিলেন, কিন্তু তারা কেউই সাড়া দেননি।

তিনি বলেন, টপরে ভূপেশ বাঘেল আমাকে ফোন করেন এবং আমি তাকে বলি যে আমি রাজনীতি ছেড়ে দিতে চাই কিন্তু তিনি আমাকে ছত্তিশগড় ছেড়ে চলে যেতে বলেন এবং তখন আমি বুঝতে পারি যে কীভাবে এটি কেবল একটি ষড়যন্ত্র ছিল।

রাধিকা খেরার পদত্যাগ

কংগ্রেস নেত্রী রাধিকা খেরা রবিবার দল থেকে পদত্যাগ করেছেন, যেখানে তিনি দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মহিলাদের অপমানের অভিযোগ এনেছেন।

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে লেখা পদত্যাগপত্রে ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস নেতা রাম মন্দির নিয়ে দলের অবস্থানের কথা উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, প্রত্যেক হিন্দুর কাছে ভগবান রামের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে, কিন্তু কিছু লোক এর বিরোধিতা করেন। রাধিকা খেরা লিখেছেন, যে দলকে আমি আমার জীবনের ২২ বছরেরও বেশি সময় দিয়েছি, সেই দলেও আমি একই রকম প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছিলাম কারণ আমি ভগবান রামের দর্শন পাওয়া থেকে নিজেকে আটকাতে পারিনি।