CV Ananda Bose: মমতা একজন নোংরা রাজনীতিবিদ, ঈশ্বরের পক্ষেও ওকে বাঁচানো কঠিন: সিভি আনন্দ বোস

রাজভবনে তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠার পর কেরল থেকে কলকাতা ফিরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সোমবার সন্ধ্যায় দমদম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন নোংরা রাজনীতিবিদ। আমার দফতরে দিদিগিরি বরদাস্ত করব না।

আরও পড়ুন: আমাদের আন্দোলন নিয়ে বলার উনি কে? গঙ্গাধরের বাড়িতে বিক্ষোভ সন্দেশখালির মহিলাদের

পড়তে থাকুন: অনুব্রত অতীত, বীরভূমে এবার পরিস্থিতি আমূল বদলে গিয়েছে, দাবি দেবতনু ভট্টাচার্যর

মুখ্যমন্ত্রী আমাকে টেনে রাজনীতিতে নামিয়েছেন

এদিন সাংবাদিকরা রাজভবনে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে রাজ্যপালের কণ্ঠে তুমুল ক্ষোভ ঝরে পড়ে। তিনি বলেন, ‘আমি এব্যাপারে বেশি কিছু বলতে চাই না, কারণ আমিই অভিযুক্ত। কিন্তু আমি আপনাদের কয়েকটা আবেদন করতে চাই। আপনারা জানেন, রাজ্যপালের রাজনীতি থেকে দূরে থাকা উচিত। রাজ্যপালের পদ অরাজনৈতিক। আমার মনে হয় আমিও রাজনীতি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেছি। যে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তাদের সবার সঙ্গে অভিযোগ আমি শুনেছি। প্রকাশ্যে তারা সেকথা স্বীকার করেছে, এমনকী শাসকদলের নেতারাও। কিন্তু আমি দুঃখিত যে একজন মুখ্যমন্ত্রী আমাকে রাজনীতিতে টেনে নামিয়েছেন। বিশেষ করে এমন একটা সময়, যখন নির্বাচন চলছে’।

নোংরা রাজনীতিবিদ মমতা

এর পরই সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘বাংলার ভাই – বোনেদের আপনাদের মাধ্যমে কয়েকটা আবেদন জানাতে চাই। প্রথমত, আমি ব্যক্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে অনেক ভালো কথা বলেছি। আমি এখনও তাতে অনড় আছি। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে সব সময় আমার সর্বোচ্চ সাংবিধানিক সহকর্মী বলেছি। তামি তাতেও অনড় আছি। রাজনীতিবিদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে যখন আমাকে বারবার প্রশ্ন করা হয়েছে আমি বলেছি, রাজনীতি আমার কম্মো নয়। তাই আমি এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না। কিন্তু এখন তিনি আমার বিরুদ্ধে যে সত্যের অপলাপ করে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার পর আমি প্রথমবার বলছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন নোংরা রাজনীতিবিদ’।

আরও পড়ুন: মনোনয়নে উত্তেজনা, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের হল থানায়

রাজ্যপালের সংযোজন, ‘এখনও আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, ওনাকে রক্ষা করুন। কিন্তু ঈশ্বরের কাছেও সেটা কঠিন দায়িত্ব। রাজ্যপালের কার্যালয়ে এই দিদিগিরি আমি কখনও মেনে নেব না’।