Murshidabad murder: প্রেমিকাকে জবাই করে রক্তমাখা হাতে বাড়ি ফেরে মিঠু, মাকে জড়িয়ে ধরে বলে..

আরও একবার সম্পর্কে টানাপোড়েনের নৃশংস নজিরের সাক্ষী রইল রাজ্যবাসী। এবারও ঘটনাস্থল সেই মুর্শিদাবাদ জেলা। তবে এবার আর পালানোর চেষ্টা করেনি আততায়ী। পুলিশকে ফোন করে আত্মসমর্পণ করেছে সে। এমনই দাবি মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে স্কুলছাত্রী সাবিনা খাতুনের হত্যায় অভিযুক্ত মিঠু শেখের মায়ের। নিহত সাবিনার দাদার দাবি, বোনকে পরিকল্পনা করে খুন করেছে মিঠু।

শনিবার দুপুরে দৌলতাবাদ জুনিয়র হাই স্কুলের সামনের মাঠে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে নাবালিকা সাবিনা খাতুনকে খুন করেন প্রেমিক মিঠু শেখ। মিঠুর মা জানিয়েছেন, ছেলে যে এরকম ভয়ানক কিছু করতে চলেছে তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তিনি। শনিবার দুপুরে দু’হাতে রক্ত মেখে বাড়ি ফেরে সে। তার পর মা-কে জড়িয়ে ধরতে বলতে থাকে। মা ওকে আমি শেষ করে দিয়েছি।

মিঠুর মা মাজিদা বিবি বলেন, ‘অন্যান্য দিনের মতো শনিবারও বাড়িতেই দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে মিঠু। এর পর মোটরসাইকেল নিয়ে কোথায় বেরিয়ে যায়। ঘণ্টাখানেক বাদে ফিরে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে। তখন দু’হাতে রক্ত মাখা। আমাকে বলতে থাকে। মা আমি ওকে শেষ করে দিয়েছি।’

মাজিদা বলেন, ‘কী হয়েছে আমি তখনও বুঝতে পারিনি। আমাকে একথা বলেই অঝোরে কাঁদতে থাকে ও। এর পর নিজেই পুলিশে ফোন করে মিঠু। তার পর দৌলতাবাদ থানা থেকে পুলিশ এসে ওকে নিয়ে যায়।’

মাজিদা জানিয়েছেন, মিঠুর সঙ্গে সাবিনার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু হঠাৎ মেয়েটি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে চায়। মিঠুর আশঙ্কা ছিল সাবিনা অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে। এই নিয়ে ওদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিবাদ চলছিল। মাজিদার দাবি, সাবিনার সঙ্গে একাধিক ছেলের সম্পর্ক ছিল। আমি ছেলেকে বলেছিলাম ওর থেকে বেরিয়ে আয়। কিন্তু ছেলে শোনেনি।

সাবিনার দাদা সেলিম রেজা জানিয়েছেন, আমার বোনকে পরিকল্পনা করে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে মিঠু। ওর ফাঁসি চাই। ও যেন টাকা দিয়ে বেরিয়ে না যায়। এব্যাপারে পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।