স্বজনদের জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ২৩ নাবিক 

তীরে এসেছেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে তাদের বহন করা লাইটার জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল-১ (এনসিটি) নম্বর জেটিতে ভিড়েছে। এরপর একে একে নাবিকরা জাহাজ থেকে নেমে আসেন।

এনসিটি জেটিতে আগে থেকে অপেক্ষায় ছিলেন নাবিকদের অনেক স্বজন, জাহাজের মালিক পক্ষসহ বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা।

জেটিতে নাবিকরা নামার পর স্বজনরা তাদের জড়িয়ে ধরেন। এ সময় কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন। বন্দরের এনসিটি এলাকায় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মুহূর্তে যেন নিস্তব্ধতা নেমে আসে কর্মচঞ্চল জেটিতে।

এর আগে, দুপুর ১২টার দিকে এমভি জাহান মণি নামে একটি লাইটার জাহাজ কুতুবদিয়া উপকূল থেকে নাবিকদের নিয়ে রওনা দেয়। এনসিটি-১ নম্বর জেটিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নাবিকদের জন্য এক সংবর্ধনার আয়োজন করে।

এর আগে, সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপকূলে নোঙর করে। গত ৩০ এপ্রিল ভোর ৪টার দিকে জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর নিয়ে দেশের পথে রওনা দেয়।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি কেএসআরএম গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন। এসআর শিপিং সূত্র জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু করে। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হারমিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবলে পড়ে। প্রায় এক মাস পর গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তিপণের বিনিময়ে জাহাজসহ ২৩ নাবিক মুক্তি পায়।