‘ভারত-চীন-রাশিয়া-বেলারুশ রাজশাহীর আম নিতে আগ্রহী’

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেছেন, ‘কৃষিপণ্য নিয়ে সিন্ডিকেট যেন না হয় সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। চাষি আমের সঠিক মূল্য যেন পান এবং ভোক্তা যেন ন্যায্যমূল্যে আমসহ কৃষিপণ্য পান সেদিকে সবাইকে নজর রাখতে হবে।’

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কুমরপুর গ্রামে আম বাগান পরিদর্শন ও কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেন, ‘ভারত, চীন, রাশিয়া ও বেলারুশ রাজশাহীর আম নিতে আগ্রহী। দ্রুতই চীনের একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহীর আম দেখতে আসবে। আমরা বেশি পরিমাণে আম রফতানির চেষ্টা করছি। তাই দলটির সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলে আমের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।’ এ ক্ষেত্রে কিছু কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আম রফতানির জন্য ২৫০-৩০০ চাষিকে সহায়তা করা হয়েছে। রফতানির জন্য রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গ্রেডিং শেড এবং ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করা হচ্ছে।’

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাইকেল জন ওয়েবস্টের ও কোকাকোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জু-উন নাহার চৌধুরী।

এর আগে মন্ত্রী সোনাদীঘি গ্রামের কৃষক রাতুলের ফার্মে মাটিবিহীন চারা উৎপাদন, ই-ফারমিং, ভার্মি কম্পোস্ট, বসতবাড়ি বাগান ও কৃষিক্ষেত পরিদর্শন করেন। বাগানটিতে বিশ্বব্যাংক, বেসরকারি সংস্থা ডাসকো, কোকাকোলা বাংলাদেশ লিমিটেড ও সিনজেনটার সহযোগিতায় উন্নত প্রযুক্তিতে আম চাষ করা হচ্ছে।

এ ছাড়া মন্ত্রী গোদাগাড়ীর বিজয়নগর এলাকায় পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তিতে ধান চাষও পরিদর্শন করেন। এরপর সোনাদীঘি এলাকায় তিনি নার্সারিতে উন্নত প্রযুক্তিতে চারা উৎপাদন পদ্ধতি পরিদর্শন করেন। এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।