Monks under attack: হামলাকারীকে ছাড়, আক্রান্ত সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারা দিল পুলিশ

শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে হামলার ঘটনায় সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের বিরুদ্ধে। উলটো দিকে যার বিরুদ্ধে আশ্রম দখলের চেষ্টার অভিযোগ, সেই প্রদীপ রায়সহ অন্য দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে লঘু ধারা প্রয়োগ করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: ‘অশুভ শক্তি’র বিনাশের ডাক দিয়ে খালি পায়ে কলকাতার রাজপথে হাঁটবেন সাধু – সন্ন্যাসীরা

পড়তে থাকুন: দাঙ্গা করিয়েছেন, মসজিদ ভেঙেছেন, কার্তিক মহারাজকে ফের বেলাগাম আক্রমণ মমতার

জানা গিয়েছে, রবিবার রাতের ওই ঘটনার পর প্রদীপ রায়সহ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ভত্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ। অনধিকার প্রবেশ, মারধর, প্রাণ নাশের চেষ্টা, অপহরণের মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়। পালটা থানায় গিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ আনে অভিযুক্ত প্রদীপ পায়।

সূত্রের খবর, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসী ও অন্য আবাসিকদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। উলটো দিকে প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে লঘু ধারায় মামলা করেছেন তারা।

এদিন সংবাদমাধ্যমকে এক প্রতিক্রিয়ায় রামকৃষ্ণ মিশনের মুখপাত্র স্বামী সুবীরানন্দ বলেন, রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীরা কোনও রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন না। তাঁরা ভোটদানেও বিরত থাকেন। কিন্তু ভক্তরা কে কোথায় ভোট দেবেন সেটা তাদের ব্যাপার। এব্যাপারে রামকৃষ্ণ মিশন কখনও কোনও নির্দেশ দেয় না। শিলিগুড়িতে একটা জমি সংক্রান্ত সমস্যা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। ওই জমি জনকল্যাণেই ব্যবহার হবে। আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। আশা করি প্রশাসন সমস্যার সমাধানে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে।

আরও পড়ুন: মমতার হুমকির পর জলপাইগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রমে হামলা হয়েছে, দাবি মোদীর

রবিবার রাতে শিলিগুড়ি লাগোয়া শালুগাড়ায় রামকৃষ্ণ মিশনের একটি আশ্রমে হামলা চালায় প্রায় ৫০ জন দুষ্কৃতী। তাদের সঙ্গে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। আশ্রমের সন্ন্যাসীদের নিগ্রহ করে তারা। এর পর আশ্রমের একাধিক আবাসিককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। রামকৃষ্ণ মিশনকে ওই জমি ও দোতলা বাড়িটি দান করেছিলেন এক ভক্ত। প্রদীপ রায় নামে এক দুষ্কৃতীর দাবি ওই জমির আসল মালিক সে। ওই ঘটনার পর আদালতের কোনও নির্দেশ ছাড়া আশ্রমের প্রধান ফটক সিল করে দিয়ে যায় পুলিশ। এবার সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।