Jharkhand labourers mishap: ঝাড়খণ্ডে কুয়ো খুঁড়তে গিয়ে মর্মান্তিক ঘটনা, মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু ৪ শ্রমিকের

মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল ঝাড়খণ্ডে। মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি অ্যাক্টের (এমজিএনআরইজিএ) অধীনে একটি কূপ খনন করার সময় ধসে পড়ল মাটি। তার নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল ৪ শ্রমিকের। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের লোহারদাগার সেনহা থানার অন্তর্গত ছিতারি আম্বা টলি গ্রামে। সেখানে সেচের জন্য কূপ খনন করা হচ্ছিল। সেই সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতদের নাম হল- আবু রেহান আনসারি (৩৫), রমজান আনসারি (৩৫), শবনম খাতুন (২১) ও ভগত। তাদের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন: চোপড়ায় শিশু মৃত্যুতে গ্রেফতার জেসিবি চালক, ৩ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের লোহারদাগা জেলায় সেচের জন্য কূপ খনন করা হচ্ছে। এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পের অধীনে এই কাজ গ্রামবাসীদের দিয়ে করানো হচ্ছে। সেচের জন্য কূপ তৈরির কাজ বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছিল। ইতিমধ্যেই কূপ খনন সম্পন্ন হওয়ার পর সেখানে ইটের গাঁথুনি দেওয়া শুরু হয়েছিল। তবে সেই সময়  আচমকা চারপাশের মাটি ধসে পড়ে। তাতে চাপা পড়ে যান ৪ শ্রমিক। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে উদ্ধার কাজ শুরু করে প্রশাসন। স্থানীয়রাও সেই কাজ হাত লাগান। এছাড়াও সেনহা থানার পুলিশের একটি দলও সেখানে পৌঁছয়। উদ্ধারকাজকে কেন্দ্র করে সেখানে প্রচুর মানুষের ভিড় হয়।

থানার সাব-ইন্সপেক্টর মনোজ কুমার জানান, চার জন শ্রমিক এমজিএনআরইজিএ-এর অধীনে কাজ করছিলেন। তারা মাটির নিচে চাপা পড়েন। শ্রমিকদের উদ্ধার করার জন্য পাঁচটি জেসিবি মোতায়েন করা হয়েছিল। পরে মাটি সরিয়ে যখন শ্রমিকদের উদ্ধার করা হয় তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। শ্রমিকদের বাঁচানো যায়নি। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। 

এই ঘটনায় মৃত শ্রমিকদের পরিবারের শোকের ছায়া নামে। ময়নাতদন্ত শেষে তাদের মৃতদেহ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, দু’দিন আগেই এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল তেলেঙ্গানার করিমনগর এলাকার ভেঙ্কট্রাওপেট গ্রামে। সেখানে একটি পরিখা খনন করছিলেন এমজিআরইজিএ প্রকল্পে নিযুক্ত শ্রমিকরা। তখন একইভাবে মাটি ধসে পড়ে তাতে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছিল একজনের। এছাড়াও দুজন আহত হয়েছিলেন। অন্যদিকে, গত ফেব্রুয়ারিতে এই ধরনের আরও একটি ঘটনা ঘটেছিল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার চেতনাগছে। সেখানে ১২ ফুট গভীর ড্রেনে মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছিল ৪ শিশুর।