ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনায় রাখা উচিত: পোল্যান্ড

ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনায় রাখা উচিত বলে মনে করছেন পোলিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাডোস্লা সিকোরস্কি। তিনি বলেছেন,  ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়টি পোল্যান্ডের অস্বীকার করা উচিত নয়। মঙ্গলবার (২৭ মে) একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত মন্তব্যে এই কথা বলেছেন তিনি। তবে ইউক্রেনে পোলিশ সেনাদের পাঠানো হলে সেখানে তারা ঠিক কী ভূমিকা পালন করবেন সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি সিকোরস্কি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

রুশ হামলা প্রতিহত করতে ইউক্রেনের যতদিন সময় লাগবে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে ততদিন অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ন্যাটো মিত্ররা। তবে দেশটিতে সেনা পাঠানোর যেকোনও সম্ভাবনাকে অস্বীকার করেছে তারা।

পোল্যান্ড ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে প্রস্তুত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিকোরস্কি বলেন, ‘আমাদের এটি উড়িয়ে দেওয়া উচিত নয়। আমাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে পুতিনকে অনুমানের জন্য ছেড়ে দেওয়া উচিত।’

সাক্ষাৎকারটি পোল্যান্ডের গেজেটা ওয়াইবোর্সজা, লা রিপাবলিকা এবং স্পেনের এল পাইস-এ প্রকাশ করা হয়েছে।

ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ২৬ ফেব্রুয়ারি প্যারিসে এক সম্মেলনে পশ্চিমা সেনারা ইউক্রেনে ইউক্রেনীয়দের প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করতে পারে এমন একটি পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।

এর আগে সিকোরস্কি নিজেই বলেছেন, ইউক্রেনে ন্যাটো সেনাদের উপস্থিতি ‘অভাবনীয়’ কোনও বিষয় নয়।

২৭ মে ইউক্রেনের শীর্ষ কমান্ডার জানিয়েছিলেন, তিনি ফরাসি সামরিক প্রশিক্ষকদের শিগশিগই ইউক্রেনের প্রশিক্ষণকেন্দ্র পরিদর্শনের অনুমতি বিষয়ক একটি কাগজে স্বাক্ষর করেছেন।

অস্ত্র ও গোলাবারুদ ঘাটতি এবং তা সরবরাহে বিলম্বের কারণে ২০২৩ সালে পাল্টা আক্রমণ করতে ব্যর্থ হয় ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। এরপরই ইউক্রেন ভূখণ্ডে ধীরে ধীরে অগ্রগতি লাভ করা শুরু করে রাশিয়া।