School problem: চুলের জন্য স্কুল থেকে নামকাটা! তবুও চুল কাটাতে নারাজ খুদে, কেন

অশালীন আচরণ করলে অথবা পড়াশোনায় খুব খারাপ নম্বর পেলে তবে স্কুল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়, এটা ভীষণ সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু লম্বা চুলের জন্যও যে স্কুল থেকে বহিষ্কার করার হুমকি দেওয়া হয়, এটা হয়তো প্রথম ঘটলো কোথাও। ঘটনাটি ঘটেছে লন্ডনে।

লন্ডনের ১২ বছর বয়সী ফারুক জেমস তার লম্বা চুলের কারণে এমনই একটি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। স্কুলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফারুক যদি তার চুল না কেটে আসে তাহলে তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হবে। স্কুলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব হয়েছেন ছাত্রের পরিবার।

(আরো পড়ুন: গরমকালে নিজেকে সুস্থ রাখতে খান লিচু, পালিয়ে যাবে সমস্ত রোগ)

স্কুল কর্তৃপক্ষদের মতে, ফারুকের লম্বা বিনুনি করা চুল ইউনিফর্মের নিয়মের পরিপন্থী। এইভাবে কোনও ছেলে লম্বা বিনুনি করে স্কুলে আসতে পারে না। ব্যাপারটি যথেষ্ট অশোভনীয়। অন্যদিকে ফারুকের পরিবারের মতে, লম্বা চুল নিয়ে স্কুল প্রশাসনের কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। স্বাভাবিকভাবেই দুই পক্ষের এই মতবিরোধের কারণে ওই ছাত্রের স্কুল থেকে বহিষ্কারের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

ফারুকের মা বনি জানিয়েছেন, তার স্বামী ঘানার বাসিন্দা। ঘানায় তিন বছর অন্তর বাচ্চাদের চুল কাটা হয়। তিন বছরের মধ্যেই ফারুকের চুল প্রত্যাশার বেশি লম্বা হয়ে গেছে। কিন্তু কোনও ভাবেই তিন বছরের আগে চুল কাটা সম্ভব না। এই ব্যাপারটি স্কুলে জানিয়ে স্কুলের নিয়ম শিথিল করার আবেদন জানানো হয়েছে কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করা হয়েছে।

ফারুকের মা আরো বলেন, ‘ব্যাপারটি আমাদের জন্য ভীষণ উদ্বেগ জনক। স্কুল জানিয়ে দিয়েছে, যদি চুল কাটা না হয় তাহলে আমার ছেলেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে দেওয়া হবে। আমরা ভাবিনি এত তাড়াতাড়ি চুল বড় হয়ে যাবে। এর আগেও স্কুলের বহু অভিভাবককে তাদের বাচ্চাদের চুল ছোট করার জন্য জোর করা হয়েছিল।’

(আরো পড়ুন: কোলেস্টেরল থেকে উচ্চ রক্তচাপ— ছোট এলাচেই থাকবে নিয়ন্ত্রণে! হৃদরোগেরও কমবে ঝুঁকি)

ফারুকের এই ঘটনাটি ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে গেছে। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে স্কুলের ইউনিফর্ম পরে দাঁড়িয়ে রয়েছে ছোট্ট ফারুক। চুলটা সুন্দর করে বিনুনি করে খোঁপা করা হয়েছে। ফারুককে দেখে বেশ মিষ্টি লাগছে। ফারুকের এই পোস্টটি ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর মানুষের ভালোবাসা পেয়েছে। সাথে আরো একবার স্কুল কর্তৃপক্ষকে প্রশ্নের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে সাধারণ মানুষ।