বাগদা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থীকে ঘিরে বড় অঙ্ক, কে মধুপর্না ঠাকুর? জানুন তাঁর সম্পর্কে‌

লোকসভা নির্বাচন মিটে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি আসন জিতে পিছনে ফেলে দিয়েছে বাম–কংগ্রেস জোটকে এবং বিজেপিকে। সিপিএম গোটা বাংলায় একটাও আসন পায়নি। কংগ্রেস একটি জিতেছে। আর বিজেপি আসন সংখ্যা কমে ১২ হয়েছে। এই আবহে এবার শুরু হতে চলেছে বিধানসভার উপনির্বাচন। কারণ বিধায়ক পদ ছেড়ে দিয়ে যাঁরা লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তাঁদের জন্যই শূন্যতা তৈরি হয়। এবার যে চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে তার মধ্যে বাগদা বিধানসভা উপনির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।

কেন এমন জোর চর্চা?‌ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ তথা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্না ঠাকুরকে বাগদা বিধানসভা থেকে প্রার্থী করেছে ঘাসফুল শিবির। মধুপর্না ঠাকুর সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে কখনও যুক্ত না থাকলেও সে মতুয়া আন্দোলনে মা মমতাবালা ঠাকুরের সঙ্গেই থাকতেন। আর ঠাকুরনগরে অবস্থিত প্রিয়ার ঠাকুর গভমেন্ট কলেজ থেকে প্রাণীবিদ্যায় স্নাতক মধুপর্ণা ঠাকুর। পড়াশোনা শেষ করে বাড়িতেই ছিলেন মধুপর্না। মনকী সম্প্রতি বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের তালাবন্ধ ঘর ফিরে পাওয়ার জন্য অনশনে বসেছিলেন মধুপর্না। তখনই সবার নজর আসেন তিনি। অত্যন্ত কম বয়সী একজন যুবতীকে প্রার্থী করার জেরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন:‌ জল থেকে ডাঙায় উঠে এল কুমির, আতঙ্কে বাসন্তীর গ্রামবাসীরা, ১৭টি ডিম উদ্ধার করল বন দফতর

কেন প্রার্থী করা হল মধুপর্নাকে?‌ মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক নিজেদের পক্ষে টানতে ফের তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রার্থী করা হল ঠাকুরবাড়ির সদস্যকেই। এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের বিপরীতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হন বিশ্বজিৎ দাস। কিন্তু তিনি হেরে যান। মতুয়া ভোট ভাগ হলেও জিততে পারেননি তিনি। বরং শান্তনু ঠাকুর দ্বিতীয়বার জিতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। এবার যাতে ভোট ভাগাভাগি না হয় এবং আসনটি তৃণমূল কংগ্রেস জেতে তার জন্যই মধুপর্নাকে তুরুপের তাস করা হয়েছে। যা আস্তিন থেকে আজ বের করা হয়েছে। ঠাকুরবাড়ির সদস্য কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর এবং রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্না ঠাকুর।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ মধুপর্ণা ঠাকুর অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সহ–সংঘাধিপতি। লোকসভা নির্বাচনে জোর লড়াই দিয়ে আসনটি আসেনি তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। তাই বাগদা বিধানসভা জয় তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। মধুপর্নার উপরই বাজি এবার ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান মধুপর্না। তবে প্রার্থী হওয়ার পর মধুপর্না সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌দাদুর আমল থেকে রাজনীতি আমাদের ধমনীতে। আমার মা একজন রাজ্যসভার সাংসদ। মা আমার শক্তি। মাকে দেখেই রাজনীতিতে নামা। সিএএ নিয়ে বিজেপি ভুল বোঝাচ্ছে। আমরা সবাই চাই নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেওয়া হোক। আমি মতুয়াদের জন্য এবং বাগদার মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। কিছু করতে পারলে ঠাকুরবাড়ির নাম হবে। আমার দাদুর নাম হবে।’‌