Shantipur Municipality: শান্তিপুরে বুস্টিং পাম্পে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, ভাঙা হল যন্ত্রাংশ, ব্যাহত জল সরবরাহ

বর্ষার আগমন ঘটলেও সেভাবে বৃষ্টির দেখা নেই। যারফলে প্রবল গরমে নাজেহাল অবস্থা দক্ষিণবঙ্গবাসীর। ঠিক সেই সময়ে উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটল নদিয়ার শান্তিপুর পুরসভায়। বুস্টিং পাম্পিং স্টেশনে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। স্টেশনের চেয়ার ভাঙচুর করার পাশাপাশি অকেজো করে দেওয়া হয়েছে একাধিক যন্ত্রাংশ। ভেঙে দেওয়া হয়েছে মিটার। যারফলে পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে জল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটেছে। এই অবস্থায় জল সংকটে পড়েছেন একাধিক ওয়ার্ডের বহু বাসিন্দা। কারণ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের জল সরবরাহ এই বুস্টিং পাম্পিং স্টেশনের উপরে নির্ভরশীল। এই ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ।

আরও পড়ুন: শান্তিপুরে অশান্তি, ইটবৃষ্টি, অভিযোগ সিপিএমের, উৎসবের মেজাজ, বলছে তৃণমূল

জানা যাচ্ছে, শান্তিপুরের বাইগাছি পাড়া এলাকায় রাস্তার ঠিক পাশেই এই বুস্টিং পাম্পিং স্টেশন অবস্থিত। গতকাল গভীর রাতে একদল দুষ্কৃতী সেই পাম্পিং স্টেশনে হামলা চালায়। প্রথমে দুষ্কৃতীরা তালা ভেঙে পাম্পিং স্টেশনের ভিতরে ঢোকে। এরপর সেখানে থাকা চেয়ার ভাঙচুর করার পাশাপাশি একাধিক যন্ত্রাংশ ভেঙে ফেলে। যারফলে সেটি কার্যত অকেজো হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় জল সংকট দেখা গিয়েছে বহু ওয়ার্ডে। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার একাধিক ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ। তীব্র গরমে জলকষ্টের সমুখীন হওয়ায় তারা রীতি মতো ক্ষুব্ধ। 

এদিক, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? কারা কেন হামলা চালাল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুরসভার তরফে এবিষয়ে ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ বলেন, ‘এখানকার মানুষের পরিষেবা বিঘ্ন ঘটানোর জন্য দুষ্কৃতীরা ষড়যন্ত্র করে এই কাজ করেছে। পুরসভার তরফে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ঘটনার উদঘাটন হবে সেই আশা রাখছি।’ 

তিনি জানান, এই পাম্পিং স্টেশনের সাহায্যে পুরসভার ৭-৮টি ওয়ার্ডে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। এই সমস্ত ওয়ার্ডের মানুষ যাতে পানীয় জলের পরিষেবা না পান তার জন্যই এই হামলা চালানো হয়েছে। চেয়ারম্যান আরও জানান, এ দিনের হামলার ঘটনায় বিরোধীরা জড়িত থাকতে পারে আবার যারা পুর পরিষেবা ব্যাহত করতে চাইছে তারাও জড়িত থাকতে পারে। তদন্তের পরেই তা বোঝা যাবে।