কে বলবে এটি একটি সিটি করপোরেশনের সড়ক!

‘এটা কোনও সড়ক না, এ যেন গ্রামের ডোবা নালা। ভাঙাচোরা সড়কের কারণে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। এরপরও সড়কটি নির্মাণে সিটি করপোরেশনের কোনও উদ্যোগ নাই। মেয়র-কাউন্সিলররে ভোট দিলাম তাতে লাভ কী? এখান দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন ও পথচারীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।’

ক্ষোভের সঙ্গে এই কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কিসমত এলাকার বাসিন্দা আফসার উদ্দিন। তিনি আরও জানান, প্রায় তিন বছর ধরে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকার গুণটি হয়ে কিসমত তারাগাই, কল্যাণপুর, বাহাদুরপুর হয়ে বেগুনবাড়ি সড়কটির এমন চরম দুরবস্থা। খানাকন্দের কারণে পানি জমে ডোবা নালার মতো রূপ ধারণ করেছে। এ কারণে বর্তমানে যান চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে পড়েছে। কিছু যানবাহন চলাচল করলেও দুর্ঘটনায় পড়ে যাত্রীরা আহত হন। দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটি একটি সিটি করপোরেশনের সড়ক।

একই এলাকার বাসিন্দা কামরুল জানান, সড়ক ভাঙাচোরার কারণে অসুস্থ রোগীদের সহজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায় না। শিক্ষার্থীরা সময়মতো স্কুল কলেজে পৌঁছাতে পারে না।

সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা চালকরা। স্থানীয় সিএনজি অটোরিকশাচালক কামাল জানান, সড়ক দুরবস্থার কারণে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া যায় না। গাড়ি উল্টে যাত্রীরা আহত হন। প্রায় গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। একদিন গাড়ি চালালে পরের দিন বিশ্রাম নিতে হয়। সব চালকের একই অবস্থা।

স্থানীয় বাসিন্দা সুমন জানান, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির অবস্থা খারাপ থাকলেও সিটি করপোরেশনের কোনও উদ্যোগ দেখা যায় না। দ্রুত সড়কটি নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জহুরুল হক জানান, ঘুন্টি থেকে কিসমত সরকার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক ও ড্রেন নির্মাণের জন্য টেন্ডার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। ১০ কোটি ৩৫ লাখ ৮৩ হাজার ৪৬৬ টাকা ব্যয়ে সড়কটি নির্মাণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। দ্রুতই কাজ শুরু করবে এবং আগামী ২৮ নভেম্বর মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।

শুধু আশ্বাস নয়, দ্রুতই কাজ শেষ করে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।