শহিদ অংশুমান সিংয়ের বাড়িতে গেলেন রাহুল গান্ধী, শুনলেন অগ্নিবীর প্রকল্প প্রত্যাহারের দাবি

অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে বরাবরই বিরোধিতা করেছেন বিরোধী দলগুলি। এমনকী সংসদে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এনডিএ সরকারকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, অগ্নিবীর প্রকল্প সেনাবাহিনীতে আসলে ইউজ অ্যান্ড থ্রো নীতি। ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। আর অগ্নিবীর প্রকল্পে সেনা হিসাবে মৃত্যু বলে সেই পরিবার ক্ষতিপূরণ পায় না। এককালীন টাকা, পেনশন কিছুই পায় না। তাই এই বিভাজনের প্রয়োজন নেই। আজ, মঙ্গলবার শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের বাড়িতে যান সাংসদ রাহুল গান্ধী।

এদিকে আজ রায়বরেলিতে গিয়ে ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল। লোকসভা নির্বাচনে এই আসন থেকে জয়ী হন রাহুল গান্ধী। তারপর এবার প্রয়াত ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের বাড়িতে যান তিনি। রাহুলের সঙ্গে প্রয়াত ক্যাপ্টেনের মা বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। পরে সাংবাদিকদের অংশুমানের মা মঞ্জু সিং বলেন, ‘‌কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমি অনুরোধ করছি অগ্নিবীর প্রকল্প প্রত্যাহার করতে। সরকারের কাছে আমার অনুরোধ এভাবে সেনাবাহিনীকে দু’‌ভাগে বিভক্ত করবেন না।’‌ অগ্নিবীর প্রকল্প করে প্রথম থেকেই দেশের মানুষের এবং তামাম বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।

আরও পড়ুন:‌ ওএমআর শিট নষ্ট করা হয় মানিক ভট্টাচার্যের নির্দেশেই, কলকাতা হাইকোর্টে ধামাকা পর্ষদের

এবার সেই ক্ষোভের আঁচ শোনা গেল শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে। তবে সংসদেও এবার বাদল অধিবেশনে এই প্রকল্প নিয়ে এনডিএ সরকারকে চেপে ধরেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এই বিষয়ে আজ অংশুমানের মা মঞ্জু সিংয়ের বক্তব্য, ‘‌অগ্নিবীররা শারীরিক এবং মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে চার বছর পর। তার জেরে তাঁরা তাঁদের পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয় না। এটা কখনই ভাল বিষয় নয়।’‌ সুতরাং সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েও কার্যত ভবিষ্যৎ নষ্ট হয় তাঁদের বলে মনে করছেন সকলেই। এই কথা আগেই সংসদে তুলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।

এখন গোটা দেশ সে কথা বলতে শুরু করেছে। ২০২৩ সালে ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং শহিদ হন। সিয়াচেন সীমান্তে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড থেকে মানুষকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিলেন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং। আর তার জেরে নিজেই প্রচণ্ড অগ্নিদগ্ধ হয়ে পড়েন অংশুমান। গত বছরের ৫ জুলাই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছ থেকে ’‌কীর্তি চক্র’‌ পুরষ্কার পান। রাহুল গান্ধী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন লালগঞ্জের শহিদ মেমোরিয়ালে গিয়ে। সেখানে তিনি একটি গাছ লাগান। পরে তিনি রায়বরেলির এইমস হাসপাতালেও গিয়ে পরিদর্শন করেন।