Tribal movement in Rajasthan: পৃথক রাজ্য গঠনের দাবিতে আদিবাসীদের মেগা সমাবেশ রাজস্থানে, সমালোচনায় BJP

রাজস্থানে আদিবাসীদের পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। গতকাল রাজস্থানের বাঁশওয়াড়া জেলায় মানগড় ধামে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের প্রচুর সংখ্যক আদিবাসী জমায়েত করে পৃথক রাজ্য গঠনের দাবিতে সমাবেশ করেন। তাঁদের দাবি, জনজাতিদের জন্য ‘ভিল প্রদেশ’ গঠন করতে হবে। যদিও বিজেপি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে তারা কোনওভাবেই এই দাবিকে সমর্থন করে না। 

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে ১৭ আদিবাসী শ্রমিককে জোর করে আটকে কাজ করানোর অভিযোগ, উদ্ধার

উপজাতীয় জনগণ মহারাষ্ট্র রাজস্থান, গুজরাট এবং মধ্যপ্রদেশের ৪৯ জেলাকে নিয়ে এই পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি জানিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে রাজস্থানের ১৩টি জেলা। এই মেগা সমাবেশে যাতে কোনওরকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য ঘটনা না ঘটে তার কড়া নিরাপত্তার পাশপাশি এদিন সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রচুর উপজাতির ভিড় হওয়ায় সমাবেশের ৫ কিলোমিটার আগে তাতে অংশগ্রহণকারী উপজাতিদের গাড়ি থামিয়ে দেওয়া হয়।

সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় আদিবাসী নেতারা দাবি করেন, তাদের ধর্ম হিন্দুধর্মের থেকে আলাদা। আদিবাসীদেরকে উপবাস এবং বিবাহিতা মহিলাদের মঙ্গলসূত্র পরা এবং সিঁদুর লাগানোর মতো হিন্দু রীতি ত্যাগ করার আহ্বান জানান। ভারত আদিবাসী পার্টির (বিএপি) বাঁশওয়ারার সাংসদ রাজকুমার রোট মনে করিয়ে দেন, ভিল প্রদেশের দাবিটি দীর্ঘ দিনের। লোকসভার সাংসদ হিসাবে শপথ গ্রহণের সময় রাজকুমার ভিল প্রদেশের সমর্থনে স্লোগানও তুলেছিলেন। আদিবাসীদের জন্য নতুন রাজ্যের দাবির প্রতীক হিসেবে রাজকুমার উটে চড়ে সংসদে গিয়েছিলেন।

সমাবেশে রাজকুমার ছাড়াও ছিলেন তিনজন বিএপি বিধায়ক। তাঁরা হলেন- বাঁশওয়ারার বাগিডোরার জয়কৃষ্ণ প্যাটেল, দুঙ্গারপুরের আসপুরের উমেশ মীনা এবং প্রতাপগড়ের ধারিয়াওয়াদের থাভার চন্দ।  আদিবাসী নেতারা বলেছেন, তারা তাদের দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চান।

উল্লেখ্য, রাজস্থানে রাজনৈতিক শক্তি অর্জনের পর থেকে বিএপি একটি পৃথক রাজ্যের জন্য প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমের ৪টি রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আদিবাসীদের একত্রিত করার চেষ্টা করছে।

তবে এই আন্দোলন নিয়ে উদয়পুরের বিজেপির সাংসদ মান্না লাল রাওয়াত ব্রিটিশদের ছাপ রয়েছে বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, এই আন্দোলনের কোনও পথ নির্দেশকা নেই। ব্রিটিশ এবং চার্চের মতাদর্শ দ্বারা এই আন্দোলন পরিচালিত হচ্ছে।