Chandipura virus: ঝড়ের গতিতে বাড়ছে চাঁদিপুরা ভাইরাস, কেন সব থেকে বেশি হচ্ছে আক্রান্ত শিশুরা

ঝড়ের গতিতে ভারতে বেড়ে চলেছে চাঁদিপুরা ভাইরাস। বিগত বেশ কয়েক দিনে গুজরাটে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বেশ কয়েকজন। মৃত্যুও হয়েছে ৩ জনের। তবে এবার যে নতুন রিপোর্টটি পাওয়া গেছে, তাতে বেশ উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞ মহল। গত রবিবার পাওয়া রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, গুজরাটে আরও ১৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪। মৃত ব্যক্তির সংখ্যা ৩২। শুধু গুজরাট নয়, পুনে থেকেও নতুন ৯ জন আক্রান্তের কথা জানা গেছে।

তবে এই ভাইরাসটি একেবারেই নতুন নয়। ১৯৬৫ সালে মহারাষ্ট্রের নাগপুর জেলায় প্রথম এই ভাইরাস পাওয়া যায়। সেই সময় অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উড়িষ্যা এবং গুজরাটে ব্যাপক আকারে ছড়িয়েছিল চাঁদিপুরা ভাইরাস। অতি কষ্টে আয়ত্তে আনা হয়েছিল এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে। 

(আরও পড়ুন: সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন মন ভালো রাখতেই হবে, পড়ুন দিনের সেরা ৫ জোকস, থাকুন মজায়)

বর্তমানে এই ভাইরাসটি ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ার আরও একটি কারণ হলো, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যে লক্ষণ গুলি দেখা যায়, তা ভীষণ সাধারন। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রাথমিক পর্যায়ে এই ভাইরাসের সনাক্তকরণ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। যখন সনাক্তকরণ করা যায় তখন বাড়াবাড়ি পর্যায় পৌঁছে যায় ভাইরাসের প্রকোপ।

কেন ১৫ বছরের নিচে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে? 

 

চাঁদিপুরা ভাইরাস সবথেকে বেশি ছড়াচ্ছে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে। এর অন্যতম কারণ হলো শিশুরা এমনিতেই বর্ষাকালে জ্বর, সর্দি, কাশির সমস্যায় ভোগে, তার মধ্যে বর্ষায় এই ভাইরাসের প্রকোপ সব থেকে বেশি ছড়িয়ে যায়। এছাড়া মাঠে ঘাটে শিশুরা প্রায়শই খেলে বেড়ায়, তখন স্যান্ড ফ্লাই বা বালি পোকা, যেটি কিনা এই ভাইরাসের বাহক, তাতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায়। তাই শিশুরা সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয় এই রোগে।

(আরও পড়ুন: সারা শরীরে লাল ছোপ, যন্ত্রণা! কোন জিনগত রোগে আক্রান্ত কিম কার্দাশিয়ান)

ভাইরাস থেকে বাঁচবেন কীভাবে? 

 

এই ভাইরাস থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল বারংবার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। সামান্যতম লক্ষণ তা মাথাব্যথা হোক, জ্বর, সর্দি, কাশি যাই হোক না কেন, ফেলে না রেখে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এই সামান্য লক্ষণগুলিকে যদি আপনি প্রাথমিক পর্যায়ে গুরুত্ব না দেন তাহলে পরবর্তী সময়ে সেটি গুরুতর আকার ধারণ করে নেবে। এছাড়া অবশ্যই ফুলহাতা জামা কাপড় পতে হবে, পোকা নিরোধক দ্রব্য ব্যবহার করতে হবে এবং অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে শুতে হবে। তবেই এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে পারবেন আপনি।