‘TMC উত্তরবঙ্গকে ভালোবাসে না, আমাদের নিজেদের ক্ষমতায় উত্তরবঙ্গকে গড়তে হবে’

তৃণমূল উত্তরবঙ্গকে ভালোবাসে না। তাই উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন উত্তরবঙ্গবাসীকেই করতে হবে। আর সেই রাস্তায় বিজেপি এগিয়ে গিয়েছে। রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা বললেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্ত। এদিন তিনি বলেন, বঞ্চনা ও জাতিসত্ত্বার অধিকার থেকে রাজ্য ভাগের দাবি ওঠে।

আরও পড়ুন – নীতি আয়োগের বৈঠকে নিয়ম ভেঙে মমতাকে আগে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল

পড়তে থাকুন – পশ্চিমবঙ্গ থেকে যে কর সংগ্রহ হয় তার দ্বিগুণ টাকা ফেরত পাঠায় কেন্দ্র

 

এদিন রাজু বিস্ত বলেন, ‘প্রকাশ্যেই বলছি চা শিল্পের এই দুর্দশার জন্য কেন্দ্রের অবশ্যই দায় রয়েছে। কিন্তু রাজ্যও নিজের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে না। রাজ্যও চা বাগান থেকে রাজস্ব আদায় করে। চা বাগানের জমি রাজ্যের হাতে। বেচা – কেনাও রাজ্যই করে। রাজ্যের হাতে যে চা বাগানগুলি ছিল সেগুলো বিক্রি করে দিয়েছে। আর যাদের বিক্রি করেছে তাদেরই চা বাগান বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। তার মধ্যে মোটা টাকা কালো টাকা হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে গিয়েছে।’

এর পরই বিস্ফোরক দাবি করে সাংসদ বলেন, ‘উত্তরবঙ্গকে তৃণমূল ভালোবাসে না। আমাদের নিজেদের ক্ষমতায় উত্তরবঙ্গকে গড়তে হবে। আর আমরা সেই রাস্তায় এগিয়ে গিয়েছি। ওরা যে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর বানিয়েছে প্রতি বছর তার জন্য বরাদ্দের অর্ধেক টাকা ফেরত যায়।’

রাজ্য ভাগ নিয়ে শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, ‘আলাদা রাজ্যের দাবি পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল। কখনও দীর্ঘ বঞ্চনার প্রতিবাদে এই দাবি ওঠে, কখনও জাতিসত্ত্বার প্রশ্নে।’

আরও পড়ুন – BJPকে ভোট দিলে শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ করবেন না বলে মুসলিমদের হুমকি দিয়েছেন ইমামরা

মুখ্যমন্ত্রী বলেন পশ্চিমবঙ্গ না কি কেন্দ্রীয় বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হয়? ২০২১ – ২২ সালে রাজ্যের নিজস্ব রাজস্ব আদায় ছিল ৭২,০০০ কোটি টাকা। আমাদের কেন্দ্রের সরকার দিয়েছিল ১ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকা। ২০২২ – ২৩ সালে রাজ্যের নিজস্ব রাজস্ব সংগ্রহ ছিল ৮২,০০০ কোটি টাকা। কেন্দ্রের তরফে পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয় ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা। আমাদের গোটা দেশে যে GST সংগ্রহ হয় তার ৪.৩৯ শতাংশ যায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে। আর কেন্দ্রের তরফে GST বাবদ ফেরত আসে ৭.৫ শতাংশ। মহারাষ্ট্র GST সংগ্রহ করে ২৩.৩৮ শতাংশ। আর মহারাষ্ট্রকে কেন্দ্র দেয় ৬.৩ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রীকে বলব অসত্য ভাষণ দিয়ে রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না।