Sheikh Shahjahan IT Return File request: আজই শেষ ডেডলাইন, আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে চেয়ে আদালতে আবেদন শেখ শাহজাহানের

আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার আজকেই শেষদিন। এই আবহে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে চেয়ে আদালতে আবেদন করল সন্দেশখালিকাণ্ডে ধৃত শেখ শাহজাহান। ব্যাঙ্কশাল আদালতে এই মর্মে আবেদন করে শেখ শাহজাহান অভিযোগ করেন, আয়কর রিটার্ন ফাইল করে চেয়েও তিনি তা করতে পারছেন না কারণ ইডি তাঁর অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করে রেখেছে। এই আবহে ব্যাঙ্কের থেকে স্টেটমেন্ট পাওয়া যাচ্ছে। তাই আদালতের কাছ থেকে ব্যাঙ্ককে স্টেটমেন্ট দেওয়ার জন্যে নির্দেশিকা জারির আবেদন করা হয়। এর আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আদালতে দাবি করা হয়েছিল, সন্দেশখালিতে জমি দখল সংক্রান্ত দুর্নীতি থেকে উপার্জিত অর্থের পরিমাণ অন্তত ২৬০ কোটি টাকা। (আরও পড়ুন: বেতন ও ভাতা বৃদ্ধি করা হল বাংলার এই কর্মীদের, বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার)

আরও পড়ুন: সকাল সকাল রেল অবরোধ উত্তেজিত যাত্রীদের, শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় থমকে লোকাল ট্রেন

এদিকে শাহজাহানের গ্রেফতারির পর তার একটি গাড়ি বেজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। সেই গাড়িটি ফেরানোর দাবিতে আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছেন শাহজাহান। এই আবহে বিচাকর প্রশান্ত মুখোপাধ্যায় জানান, শাহজাহান গাড়ি ফেরানোর জন্যে সরাসারি ইডির কাছে আবেদন করতে পারে। ইডি প্রয়োজন মনে করলে সেই গাড়ি ফিরিয়ে দিতে পারে। তবে বিচারক এই সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকা জারি করেননি।

আরও পড়ুন: কেন পদবি বদলাতে স্বামীর NOC লাগে মহিলাদের? কেন্দ্রের জবাবে ‘হতবাক’ TMC সাংসদ

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে রাজ্য রাজনীতির অন্যতম বহুল আলোচিত নাম হল শেখ শহজাহান। কয়েকদিন আগে পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ছিল সে। এখন অবশ্য দল থেকে বহিষ্কৃত শাহজাহান। এই শাহজাহানের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠে এসেছে সাম্প্রতিককালে। এই আবহে আদালতে ইডি জানিয়েছিল, ২০০৬ সাল থেকেই এলাকায় গুন্ডামি করত শাহজাহান। তবে সেই সময় সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। পরে ২০১৩ সালে তৃণমূলের সময়কালে রাজনীতিতে আসে শাহজাহান। নানান রাজনৈতিক পদ পেয়ে এরপর আরও প্রভাব বৃদ্ধি পায় শাহজাহানের।

সেই সময় অভিযোগ করা হয়, শাহজাহানের ভাই আলমগির ও শিবু হাজরা ধামাখালি গেস্ট হাউস এবং ব্লক অফিসে ঠিকাদারদের ডেকে পাঠিয়ে কে কোন টেন্ডার পাবেন, তা ঠিক করে দিত। অভিযোগ, টেন্ডারের বিনিময়ে মোটা টাকা কমিশন নিত আলগমির, শিবু হাজরারা। এদিকে রাজ‌্য সরকারের দেওয়া টেন্ডার ঘুরপথে শাহজাহান ও তার সঙ্গীদের কাছে। এর ফলে তারা লাভবান হত। এরই মাঝে চলত তোলাবাজি। নিজের ঘনিষ্ঠদের দিয়ে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের ভয় দেখাত শাহজাহান। এভাবেই সে এলাকায় নিজের প্রভাব বজায় রেখেছিল এবং সব ক্ষেত্রেই ‘কাট মানি’ খেত।