Businessman murder case: নদিয়ায় ব্যবসায়ীকে খুনে মাত্র ২৩০ দিনেই সাজা ঘোষণা, যাবজ্জীবন করাদণ্ড ৪ জনের

গত বছরের ডিসেম্বরে নদিয়ার তাহেরপুরের ব্যবসায়ী রাজা ভৌমিককে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে খুন  করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই খুনের ঘটনায় মাত্র ৭ মাসেই বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে সাজা ঘোষণা করল আদালত। এক দম্পতি সহ ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেন রানাঘাট ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক মনোদীপ দাশগুপ্ত।আগেই এই ৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। মঙ্গলবার চারজনের সাজা ঘোষণা  করে আদালত।

আরও পড়ুন: রাস্তায় জড়িয়ে ধরতেই চিৎকার করে ওঠে নাবালিকা, ভয়ে গলা টিপে খুন করল যুবক

বহুজাতিক সংস্থার জোনাল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন নদিয়ার তাহেরপুরের বাসিন্দা রাজা ভৌমিক। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর রাতে রাজা ভৌমিককে তাঁর তাহেরপুরের বাড়িতে ঢুকে স্ত্রীর সামনে গুলি করে খুন করেছিল আততায়ীরা। তবে প্রত্যেকের মুখে মুখোশ থাকায় চিনতে পারেননি তাঁর স্ত্রী। পরে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, এই খুনের মাস্টারমাইন্ড ছিল বর্ধমানের বাসিন্দা রাসমণি বিশ্বাস ও তার স্বামী দেবব্রত।মহিলার স্বামী রানাঘাটের হবিবপুরের বাসিন্দা। এছাড়াও তাদের সাহায্য করেছিল আরও দুজন।

মূলত টাকা ধার নিয়েই এই খুনের ঘটনা। জানা গিয়েছে, প্রায় ২ বছর আগে দম্পতি রাজার কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিল। কিন্তু, সেই টাকা না মেটানোই পুলিশের কাছে যাবেন বলে রাজা হুমকি দিয়েছিলেন। এরপরেই রাজাকে খুনের ফন্দি আঁটে দম্পতি। টাকা দিয়ে তারা তাহেরপুরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী সৌরভ মজুমদার এবং হৃদয় মণ্ডলকে ভাড়া করে। এরপর গত ৮ ডিসেম্বর রাতে রাজার বাড়িতে ঢুকে তারা খুন করে। তবে ঘটনার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সকলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরার মুখে তারা খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। তবে অভিযুক্তদের দাবি ছিল, ৪ লক্ষ টাকার পরিবর্তে সুদ সমেত ২০ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন রাজা। তাই নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে।

এদিকে, খুনের পর অভিযুক্তরা রাজার মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। সেই মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। ডিএসপি বর্ডার, রানাঘাটের এসডিপিও, তাহেরপুর থানা এবং স্পেশাল অপারেশন গ্যাংয়ের আধিকারিকদের নিয়ে একটি বিশেষ দল তৈরি করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। 

অভিযুক্তদের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩০২, ৫০৬, ৩৪ নম্বর ধারা এবং অস্ত্র আইনের ২৫, ২৭ নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হয়েছে। মাত্র ২৩০ দিনে মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীর পরিবার।